রাশিদ রিয়াজ : ভ্যাকসিন দেওয়ায় এয়ারলাইন্সটির কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছে এ গুজবে এসব ফ্লাইট বাতিল হয়ে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরগুলোতে হাজার হাজার যাত্রী ভ্রমণের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলে ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়ে এয়ারলাইন্সটি। যুক্তরাষ্ট্রে সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের টিকিট অপেক্ষাকৃত সস্তা। গত রোববার ১ হাজার ১৮টি ফ্লাইট বাতিল করে এয়ারলাইন্সটি। এপরের দিন বাতিল করে ৮০৮টি। এতে এয়ারলাইন্সটির ২৭ শতাংশ পরিচালনা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে। একই দিন আমেরিকান এয়ারলাইন্স ও স্প্রিট এয়ারলাইন্স তাদের ২ শতাংশ পরিচালনা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। সিএনএন
ইউএস টুডের প্রতিবেদনে বলা হয় এয়ারলাইন্সটি জানিয়েছে তারা পুনরায় ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও খারাপ আবহাওয়ার কথাও জানায় এয়ারলাইন্সটি। কিন্তু হঠাৎ করেই এয়ারলাইন্সটি ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর কোথাও তাদের কর্মীদের দেখা যায়নি। মার্কিন অভিনেতা কেভিন মিখায়েল মার্টিন অভিযোগ করে বলেন এয়ারলাইন্সটির কর্মীদের লাপাত্তা হওয়ার বিষয়টি গ্রহণযোগ্য নয়। আরেক যাত্রী টুইটে জানান, টিকিট কাউন্টারে গোলমেলে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সে বৈমানিক রয়েছে ১০ হাজার। বৈমানিকদের এ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে ক্রু ও যাত্রীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার দিকে সর্বোচ্চ নজর দেওয়া হয়েছে। অবশ্য ফেডারেল এভিয়েশন এ্যাডমিনেস্ট্রেশন ফ্লাইট বাতিলের কারণ হিসেবে বৈরী আবহাওয়া, সামরিক প্রশিক্ষণ ও সীমিত ক্রু থাকার কথা বলেছে। সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইন্সের ৫৬ হাজার কর্মী এখনো কোভিড টিকা দেয়নি এবং তাদের টিকা দেওয়ার জন্যে শেষ সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে আগামী ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ম্যারি করি নামে এক যাত্রী ওকলাহোমা থেকে অরল্যান্ডোতে যাওয়ার কথা থাকলেও ফ্লাইট বাতিলের কারণে যেতে পারেননি। তাকে ৮ ঘন্টা ধরে কাস্টমার সার্ভিসে ফোনে দরদাম করে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৪শ ডলার ও ২০ হাজার ক্রেডিট কার্ড পয়েন্ট খরচ করে বিকল্প পথ ধরতে এয়ারবিএনপির টিকিট সংগ্রহ করেন। তবে তিনি জানান এর আগে অন্তত ২শ বার তিনি সাউথওয়েস্টে ভ্রমণ করেছেন এবং এধরনের পরিস্থিতি ভবিষ্যতে তারা সামলাতে পারবেন বলে আশা করেন।