মাসুদ আলম : [২] অ্যাপভিত্তিক সুদের কারবার থেকে আয়ের টাকা অন্য বৈধ প্রতিষ্ঠানের মুনাফা হিসেবে দেখিয়ে চীনসহ একাধিক দেশে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। ৩ থেকে ৭ দিনের জন্য দেওয়া হয় এসব ঋণ। রাজধানীর বারিধারা, বনানী, ধানমন্ডি ও মিরপুরে থেকে গ্রেপ্তার চীনা নাগরিকসহ ৫ জনকে ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য বেরিয়ে আসে। একেকটি অ্যাপ বাংলাদেশ থেকে ডাউনলোড হয়েছে এক লাখ থেকে দশ লাখ বার।
[৩] ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হাফিজ আক্তার বলেছেন, চক্রটি স্বল্প আয়ের লোকজন এবং বেকার ছাত্র-ছাত্রীদের টার্গেট করে। নিবন্ধনের পর ব্যবহারকারীর মোবাইল ফোনের সব নম্বর ও ছবির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় অ্যাপ কোম্পানিগুলো। কেউ সময় মতো অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে ওই ফোন নম্বর ও ছবিতে প্রবেশের সুযোগ নিয়ে ঋণগ্রহীতাকে অপদস্তও করা হয়।
[৪] ডিবির গোয়েন্দা বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, বাঙালীর ওপর একটা স্টিমরোলার চালানোর মতো এবং বাংলাদেশে যে বিদ্যমান আইন, সম্পূর্ণরূপে তার বিপরীত। এরমধ্যে মনিটরি কোন ট্রান্সফার হয়েছে কিনা, অথবা এরমধ্যে মানি লন্ডারিংয়ের কিছু আছে কিনা এই বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হবে'। ঋণ নিতে অনেকে বাধ্য হয়েই অ্যাপস ব্যবহারে তাদের নিয়ন্ত্রণে সম্মত জানান। ফলে চায়নাতে বসে চক্রটি কিন্তু ক্ষতিসাধন করতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :