পারমিতা হিম : সাংবাদিকেরা শান্তিতে নোবেল পেয়েছোÑ এটা কিন্তু অবাক করা কিছু নয়। অবাক করা হলো যে দুজন সাংবাদিক শান্তিতে নোবেল পেলেন তাদের একজন ফিলিপিনের আরেকজন রাশিয়ার। আমি বলছি না ওই দেশে মুক্ত সাংবাদিকতা দরকার নেই, কিন্তু তাদের চেয়েও বড় কাজ করা দুজন সাংবাদিকের কথা আজকে মনে পড়ে গেলো। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ও এডওয়ার্ড স্নোডেন। জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা। উইকিলিকস পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমেরিকা কীভাবে সরকারপ্রধান, ব্যবসায়ী নেতা কিংবা রাজনৈতিক নেতাদের ঘুষ দিয়ে হত্যা, লুটপাট চালাচ্ছে সেগুলোর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করে দিয়েছিলেন। অ্যাসাঞ্জকে এক দেশ থেকে আরেক দেশ পালাতে হয়েছে এ তথ্য ফাঁসের জন্য। যৌন নিপীড়নের মামলার আসামি হয়েছেন। আমেরিকা ঢোকামাত্র গ্রেপ্তার করা হবে। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নয়, ওই যৌন নির্যাতনের মামলায়।
এডওয়ার্ড স্নোডেন এনএসআই-এ কাজ করতো। তিনি ফাঁস করে দেন যে, টেলিফোনে আড়িপাতার মাধ্যমে অ্যামেরিকা সরকার কীভাবে পাবলিকের প্রাইভেসি লঙ্ঘন করছিলো। (জি ভাই, আপনার মন চাইলেই ফোনলাপ টিভিতে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দিতে পারেন না।) দুজনের কাজেই পৃথিবীতে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। পাবলিক ক্ষেপে যায়। পলিটিশিয়ানরা নিজেদের কৌশল পরিবর্তন করে। স্নোডেন এখন রাশিয়ায়, রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকেন। কিন্তু তারা কি কোনোদিন নোবেলের মতো পুরস্কার পাবেন? আমার মনে হয় না। তারা তো আমেরিকা সরকারের কুকর্ম ফাঁস করেছিলেন। তাই দুনিয়ার শান্তি (!) রক্ষায় পুরস্কার তো দূরের কথা, একজনকে লন্ডনের জেলে আরেকজনকে রাশিয়ায় অ্যাসাইলাম নিতে হয়েছে। হালার হালা ভণ্ড পুরস্কার! ফেসবুক থেকে