মোতাহার খান: [২] সিএনজি স্টেশন থেকে যানবাহন ছাড়া অন্য কোথাও সিএনজি গ্যাস বিক্রি নিষিদ্ধ থাকলেও গাজীপুরের শ্রীপুরে প্রভাবশালী সিএনজি মালিকরা তা পাত্তা দিচ্ছেন না। দেশে তীব্র গ্যাস সংকট থাকলেও উপজেলার প্রায় ৯/১০ টি সিএনজি স্টেশন থেকে অনবরত গ্যাস পাচার চলছে।
[৩] প্রতিদিন ফিলিং স্টেশন থেকে অটোরিকশা ও কাভার্ড ভ্যান বোঝাই সিলিন্ডার ভর্তি করে গ্যাস নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হোটেল-রেস্তোরা, গার্মেন্টসহ সব ধরনের কল-কারখানায়।চলছে সেসব সিএনজির অবাধ ব্যবহার। ফিলিং স্টেশনের সিএনজি গ্যাস নিয়েই চালানো হচ্ছে বিদ্যুৎ প্লান্টও।
[৪] সরেজমিন ঘুরে কথা হয় উপজেলার মাওনা সিএনজি স্টেশনের ম্যানেজার শফিকুল ইসলামের সাথে তিনি জানান, কাভার্ড ভ্যানযোগে আনা সিলিন্ডারগুলোতে এভাবেই সিএনজি এখন শিল্প-কারখানা, বিদ্যুৎ প্লান্ট, বাসা-বাড়ি, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সব বাণিজ্যিক কাজেই ব্যবহার হচ্ছে। এটা কতটুকু বৈধ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা অবৈধ থাকলেও আপনি সব সিএনজি স্টেশন ঘুরে দেখেন সবাই দেয় তাই আমরাও দেই।
[৫] সিএনজি স্টেশন থেকে কভার ভ্যানে করে গ্যাস নেওয়ার সময় কথা হয় উপজেলার খান টেক্স ফ্যাশন লিমিটেডের সহকারী ম্যানেজার রেজু সিকদারের সাথে তিনি জানান, বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন তিন থেকে চারবার গ্যাস নিতে হয়, প্রতিবার ১০ হাজার টাকার গ্যাস নিতে হয়।
[৬] ইউনিয়ন মুক্তিযুদ্ধা কমান্ডার বীরমুক্তিযুদ্ধা মুক্তাদির হোসেন বলেন, রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) সিলিন্ডারের মাধ্যমে শিল্পকারখানা ও বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় জ্বালানি হিসেবে অবৈধভাবে ব্যবহার সরকারিভাবেই নিষিদ্ধ। কিন্তু অবৈধ কাজটিই চলছে প্রকাশ্যে, সবার চোখের সামনে-অথচ দোষীদের কাউকে শাস্তিও পেতে হচ্ছে না। ফলে সিএনজি পাচারজনিত অপরাধ পাল্লা দিয়েই বেড়ে চলেছে। এসব পাচারজনিত অপরাধ বন্ধের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
[৭] জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম বলেন, (সিএনজি) গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে শিল্পকারখানা ও বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় জ্বালানি হিসেবে অবৈধভাবে ব্যবহার সরকারিভাবেই নিষিদ্ধ। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়ীত্ব দিবো অপরাধীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
[৮] শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি।খুজ নিয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।