ইমরুল শাহেদ: সিনেমা হলগুলো ক্রমশ সচল হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বড় বাজেটের ছবি ‘চোখ’ মুক্তি পেয়েছে। শাহেনশাহ মুক্তির ১৯ মাস পর পুরোপুরি বাণিজ্যিকভাবে এই ছবিটি ১ অক্টোবর মুক্তি পেয়েছে। বুবলী, নিরব ও রোশান তারকায়িত এই ছবিটি দর্শকের মনে তেমন কোনো আবেদন তৈরি করতে পারেনি বলে চিত্রপাড়ায় আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু বুবলী আগেই বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দর্শক কি রকম সিনেমা হলে আসবেন জানি না। তবে যারা আসবেন তারা ঠকবেন না। কিন্তু দর্শক ছবিটিকে বুবলীর অবস্থান থেকে বিবেচনা করেননি।
প্রশ্ন হলো চোখ কেমন ব্যবসা করেছে, তার চাইতে বড় কথা হলো একটা বিরুপ পরিস্থিতিতে ছবি মুক্তি দিতে অন্তত একজন প্রযোজক সাহস করেছেন। দীর্ঘদিন থেকেই বড় বাজেটের অন্তত ৩০টি ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু প্রায় সাত মাস পর ১৬ অক্টোবর সিনেমা হল খুললেও দর্শক আসার নিশ্চয়তা না থাকায় লোকসানের ভয়ে কোনো বিগ বাজেটের ছবি মুক্তি দিতে সাহস পাননি প্রযোজকরা। প্রযোজক পরিবেশক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, আগামী নভেম্বর, ডিসেম্বর এবং নতুন বছরের জানুয়ারি মাসে বিগ বাজেটের কিছু ছবি মুক্তির জন্য সমিতিতে আবেদন করেছে। এর বাইরে আবার কেউ কেউ ছবি মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে তারা রয়েছেন দোটানায়।
নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পরীক্ষা হবে। এ সময় অভিবাবকরাতো সিনেমা দেখার জন্য বের হবেন না। সেক্ষেত্রে বিগ বাজেটের ছবিগুলো মুক্তি পেলে সেগুলোর কি পরিণতি হতে পারে। অন্যদিকে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে, মিশন এক্সট্রিম-২, অপারেশন সুন্দরবন, জ্বীন, বিদ্রোহী, শান, দিন: দ্যা ডে, অন্তরাত্মা, অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দর বন, আনন্দ অশ্রু, ডেঞ্জার জোনসহ আরো কয়েকটি ছবি। তুলনামূলক কম বাজেটের কিছু চলচ্চিত্রও চলতি বছরে মুক্তি পেতে পারে। তার মধ্যে আছে অনুদানের ছবিও। সে তালিকায় আছে যাও পাখি বলো তারে, আশীর্বাদ, স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা ইত্যাদি। এই তিনটি ছবিই পরিচালনা করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিক।
