খালিদ আহমেদ: [২] প্রবাসী আবুল বাশার নির্দোষ বহনকারী হিসেবে যেন অযথা ভুক্তভোগী কিংবা মিসক্যারেজ অফ জাস্টিসের (আইনের অপপ্রয়োগ) শিকার না হন, সে জন্য একজন সৌদি আইনজীবী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেদ্দায় বাংলাদেশের কনস্যুলেট। আইনজীবী নিয়োগের কার্যক্রমও শুরু করেছে কনস্যুলেট।
[৩] বিষয়টি আটক আবুল বাশারের পরিবারকে অবগত করতে জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কার্যালয়ের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের কাউন্সেলর (শ্রম) মো. আমিনুল ইসলামের সই করা একটি চিঠি বৃহস্পতিবার ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
[৪] আবুল বাশারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে চিঠিতে।
[৫] কনস্যুলেটের উদ্যোগে বাংলাদেশ থেকে কিছু কাগজপত্র ও প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আরও কোনো প্রমাণ থাকলে তা পাঠানোর জন্যও অনুরোধ জানিয়েছে কনস্যুলেট।
[৬] চিঠিতে বলা হয়, কনস্যুলেট প্রতিনিধিরা সৌদির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার সাক্ষাৎ করেছে। আবুল বাশারের পক্ষে আপিল করার বিষয়টিও তাদের অবহিত করা হয়েছে।
[৭] ঘোষিত রায় পর্যালোচনা, বাংলাদেশ থেকে সংগৃহীত কাগজপত্র বিশ্লেষণ, কনস্যুলেট থেকে পাঠানো চিঠি, নোট ভারবালের তথ্য পর্যালোচনা করে একটি প্রাথমিক ‘স্টেটমেন্ট অফ ফ্যাক্ট’ তৈরি করা হয়েছে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
[৮] আচারের কথা বলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌদিপ্রবাসী আবুল বাশারের ব্যাগে জোর করে একটি প্যাকেট দেন পরিচ্ছন্নতার কাজে নিয়োজিত একে ট্রেডার্সের এসআর সুপারভাইজার নুর মোহাম্মদ। না নিলে বিমানে উঠতে দেয়া হবে না এমন ভয় দেখানোয় প্যাকেট নিতে বাধ্য হন বাশার। সেই প্যাকেট নিয়ে জেদ্দা বিমানবন্দরে ধরা পড়েন তিনি।
[৯] আচারের প্যাকেটে মেলে ইয়াবা। পরে ইয়াবা পাচারের অভিযোগে সৌদি আরবে ২০ বছরের সাজা হয় বাশারের।
[১০] গত ৫ অক্টোবর বাশারের মুক্তির জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরেও কোনো সমাধান পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন তার স্ত্রী রাবেয়া। তার আকুতি, সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো যেন বাশারকে মুক্ত করার ব্যবস্থা নেয়।
[১১] পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে স্বামীর মুক্তির জন্য সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দিকে তাকিয়ে আছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :