সুজিৎ নন্দী: [২] হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা মহালয়ার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে। আগামী সোমবার ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে দেবীর আগমন ঘটবে । আর শুক্রবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দুর্গোৎসব।
[৩] বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি মিলন কান্তি দত্ত বলেন, প্রতিটি মন্দিরেই পূজার প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রতিমায় রং এর কাজ আগেই শুরু হয়েছে। তবে দশমীর শোভাযাত্রা হবে না। প্রতিমা নিয়ে স্বাভাবিক ভাবে নদীতে বিসর্জন দেয়া হবে।
[৪] বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান, এবার অষ্টমী তিথির কুমারী পূজা ঢাকা রামকৃষ্ণ মিশনে অনুষ্ঠিত না হলেও দেশের বিভিন্ন স্থানে হবে। ১৮ দফাসহ সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা হবে। বিশেষ করে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী তিথিতে পূজা মণ্ডপগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঢুকতে হবে।
[৫] উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল চ্যাটার্জি বলেন, এবার পূজার সংখ্যা গতবারের চেয়ে বেশি হচ্ছে। অন্য বছরগুলোতে তো আমরা বিভিন্ন জায়গা থেকে শোভাযাত্রা করে প্রতিমা নিয়ে একটা জায়গায় যেতাম। এবার যার যার মতো বিসর্জন দেয়া হবে। এবার প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী থাকবে।
[৬] এছাড়াও বেশি রাত পর্যন্ত দেশের কোনো পূজামণ্ডপ খোলা রাখা যাবে না। হবে না বড় কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, দর্শনার্থী প্রবেশেও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। সর্বত্র থাকবে কড়াকড়ি। রমনা কালী মন্দির থেকে দুই লাখ মাস্ক বিতরণ করবো।
[৭] পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, গেটে স্বাস্থ্যবিধির পুরো ব্যবস্থাই থাকবে। কেউই মাস্ক বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার না করে মন্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না। একসঙ্গে বেশি মানুষ এলেও আমরা নির্দিষ্ট সংখ্যক দর্শনার্থীর বেশি ভেতরে ঢুকতে দেয়া হবে না। দর্শনার্থীদের কেউই বেশিক্ষণ মণ্ডপে থাকতে পারবেন না।
আপনার মতামত লিখুন :