ইফতেখার আলম: [২] রাজশাহী রেল স্টেশন বেসামাল। প্রায় দেড় হাজার টিকিটের যাত্রী না নিয়েই গন্তব্যে গেছে ট্রেন। পরে স্টেশনে ভাংচুর, টিসি অফিস ঘেরাও করে রেখেছে যাত্রীরা। প্রায় দেড় হাজার অতিরিক্ত যাত্রী ইন্টারনেটে টিকিট কাটেন। কিন্তু ট্রেনে অতিরিক্ত চাপ থাকার কারনে টিকিট নিয়েও যাত্রীরা উঠতে পারেননি। যাত্রীদের মধ্যে প্রায় অনেকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যলয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরাও ছিলেন।
[৩] বিকেল চারটার দিকে পদ্মা ট্রেনের টিকিট কেটেও যেতে না পারা যাত্রীরা পরে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা স্টেশন ঘেরাও করে ভাংচুরের চেষ্টা চালান। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পশ্চিম রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
[৪] পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহা ব্যবস্থাপক (জিএম) মিহির কান্তি গুহ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা পদ্মা ট্রেনের টিকিটেই পরবর্তীতে ট্রেনে যেতে পারবে। এছাড়াও খুলনা থেকে ঢাকা গামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসে ১০৬টি আসনের একটি নির্দিষ্ট কোচ লাগানো হয়েছে। সন্ধ্যার পর রাজশাহী থেকে ঈশ্বরদী গামী কমিউটার ট্রেনে গিয়ে ঈশ্বরদী রেল স্টেশনে তারা ঐ কোচে ঢাকা যেতে পারবেন।
[৫] উল্লেখ্য, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ট্রেনের নির্ধারিত আসন এর চাইতে যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যায়। ট্রেনে তিল ধারণের জায়গা ছিল না।
আপনার মতামত লিখুন :