মুশফিক ওয়াদুদ: আমেরিকাতে ফান্ডিংগুলো আসে মূলত টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট অথবা রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে। টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পড়াতে হয় আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রেডিং বা এ সকল কাজ থাকে। সেজন্য আইইএলটিএস কিংবা টোফেলে ভালো স্কোর না থাকলে আসলে ফান্ডিং পাওয়া সম্ভব নয়। আর এটা নিজের জন্যও ক্ষতিকর। আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখা দেয়। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি দক্ষতার পরীক্ষায় পাস করতে না পারলে ইংরেজি একটি কোর্সে ভর্তি হতে হয়। সেখানে বেশ কিছু অর্থের অপচয় হয়। সেজন্য আমেরিকাতে পড়তে আসার পরিকল্পনা থাকলে আইইএলটিএসে অথবা টোফেলে ভালো একটি স্কোর অর্জনের চেষ্টা করা উচিত। আইইএলটিএস নিয়ে প্রথমেই যে প্রশ্নট সবাই করেন তা হলো কোন কোচিংয়ে ভর্তি হবো না একা একা প্রস্তুতি নেবো?
এই প্রশ্নের আসলে সঠিক কোনো উত্তর নেই। অনেকে কোচিংয়ে ভালো করেন আবার অনেকে একা একা প্রস্তুতি নিয়ে ভালো করেন। আপনার যদি নিজে নিজে পড়ার অভ্যাস থাকে তাহলে কোচিংয়ে ভর্তি না হওয়াই ভালো। বেশিরভাগ কোচিংয়ের মান ভালোও নয়। এখন প্রশ্ন হলো নিজে নিজে কীভাবে প্রস্তুতি নেবেন? আমার পরামর্শ থাকবে প্রথমেই একটি আইইএলটিএস মক টেস্টে অংশগ্রহণ করুন। ব্রিটিশ কাউন্সিল অথবা মেনটরসে মক টেস্ট দেওয়ার সুযোগ আছে। নিজের অবস্থা সম্পর্কে জানতে পারবেন মক টেস্টে। কতো স্কোর হয় দেখুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মক টেস্টের সঙ্গে মূল স্কোরের সামান্য কিছু পার্থক্য থাকে। এরপর একটি টার্গেট নিয়ে পড়তে থাকুন। আইইএলটিএসে ক্যামব্রিজের বই পাবেন নীলক্ষেতে। প্রতিদিন একটি লিসেনিং এবং রিডিং প্যাকটিস করতে থাকুন।
এখানে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হলো ধৈর্যের। কোচিংগুলো যেমনভাবে বলে এতোটা দ্রুত আইইএলটিএসের ভালো স্কোর আসলে করা যায় না। সময় লাগে। অন্তত ৩ মাস, ৬ মাস কিংবা এক বছরের একটি সাধনার প্রয়োজন হয়। এভাবে প্রস্তুতি নিতে নিতে মাসে অন্তত একবার মক টেস্ট দিন। নিজের অবস্থান সম্পর্কে ধারণা নিন। দেখুন স্কোর প্রথম মক টেস্টের অনুপাতে বাড়ছে কিনা। আর এখন ইউটিউবে আইইএলটিএসের বেশ ভালো কনটেন্ট পাওয়া যায়। সেগুলোও দেখতে পারেন। আইইএলটিএসে অনলাইন রিসোর্স নিয়ে পরে একটি পোস্টে আলাপ করবো ইনশাআল্লাহ। লেখক: গবেষক
আপনার মতামত লিখুন :