এইচ এম মিলন: [২] মাদারীপুরের কালকিনিতে মান্নান ওরফে মনাই হোসেন নামে এক ইউপি সদস্যের বসতঘরে বসে রাতের আধারে হাতবোমা বানানোর সময় বিস্ফোরিত হয়েছে। এতে ওই টিনের চালার বসতঘরটি সম্পূনরুপে বিধস্ত হয়েছে।
[৩] এ সময় ৫ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে বরিশালসহ বিভিন্নস্থানে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মাথাভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
[৪] এলাকা ও পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলার সিডিখান ইউপি পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ডের সদস্য মান্নান ওরফে মনাই হোসেনের নেতৃত্বে ইয়ামিন বেপারী ও সুমন শিকদারসহ বেশ কয়েকজন মিলে বসতঘরের ভেতরে বসে হাতবোমা তৈরির কাজ সম্পন্ন করে।
[৫] এসময় হঠাৎ করে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়ে যায়। এতে করে ওই টিনের চালার ঘরটি উড়ে যায়। এ সময় ৬ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ইয়ামিন বেপারী (৪৫) ও সুমন সিকদারকে (৩০) বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতারে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার পর থেকেই ইউপি সদস্য মান্নান ওরফে মনাই পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ জানান। পরে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
[৬] প্রত্যক্ষদর্শী বেলায়েত কবিরাজসহ বেশ কয়েকজন বলেন, আমরা বোমার শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে এসে দেখি রক্ত পরে রয়েছে। এবং টিনের চালার ঘরটি ছিন্নবিছিন্ন হয়ে গেছে। বোমাবিস্ফোরনে ৫-৬ জন লোক আহত হয়েছে দেখেছি। দুইজনকে বরিশাল পাঠানো হয়েছে। বাকিদের বিভিন্নস্থানে পাঠানো হয়েছে।
[৭] সিডিখান ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলন মিয়ার ভাই সুজন অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার বিকালে স্কুলের পাশে আমাদের নির্বাচনী সভা করার কথা ছিল। এ সভায় হামলা করার জন্যই বর্তমান চেয়ারম্যান চানমিয়া শিকদারের কর্মী মনাইসহ বিস্ফোরনে আহতরা এ বোমা তৈরী করেছিল। ওই ইউপি সদস্য ও বোমা তৈরীর কারিগররা চাঁনমিয়া শিকদারের লোক।
[৮] অভিযুক্ত বর্তমান চেয়ারম্যান চাঁনমিয়া শিকদার বলেন, আমি দুরে আছি। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।
[৯] এব্যাপারে কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। আহতদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।