আয়াছ রনি: [২] কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহৎ শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার পর শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
[৩] বিশেষ করে নিহত মুহিবুল্লার পরিবার ও সংগঠন এবং সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সেজন্য ক্যাম্পে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
[৪] শরণার্থী শিবিরে টানা ‘ব্লক রেইড’ সহ বাড়তি নিরাপত্তা দিয়ে অপরাধীদের আটক করতে চিরুনি অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
[৫] ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি নাইমুল হক বলেন, উখিয়ার কুতুপালং এর লম্বাশিয়ার যে ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করা হয়, সেখানে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্য চার গুণ বাড়ানো হয়েছে। ওই ক্যাম্পে আগে ৭০-৭৫ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করতেন। এখন তা বাড়িয়ে ৩০০ করা হয়েছে। পাশাপাশি গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক আরও জোরদার করা হয়েছে।
[৬] তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। ক্যাম্পে ব্লক রেইডসহ দিনে-রাতে ধারাবাহিক অভিযানও চলছে। ক্যাম্প ঘিরে নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকায় ধারণা করা হচ্ছে মুহিবুল্লাহর হত্যাকারীরা ক্যাম্পের বাইরে পালিয়ে যেতে পারেনি।
[৭] সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) তিনটি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। যেখানে দুই হাজার পুলিশ ফোর্স দায়িত্ব পালন করছে। মুহিবুল্লাহ হত্যার পর থমথম পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে এপিবিএনের আরও দুটি নতুন ব্যাটালিয়ন বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। যার একটি দায়িত্ব পালন করবে কক্সবাজারে, অন্যটি ভাসানচরে।
[৮] ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বলছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ‘ওয়াচ টাওয়ার’ তৈরি হলে নজরদারি রাখা আরও সহজ হবে। কারণ ক্যাম্পের অনেক এলাকার নিরাপত্তা বেষ্টনীর কাঁটাতার কেটে ছোট ছোট পথ তৈরি করে দুষ্কৃতকারীরা। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়ে কাঁটা তারের বেষ্টনী পেরিয়ে অনেকে নিরাপদে পালিয়ে যাচ্ছে। ওয়াচ টাওয়ার তৈরি হলে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা বেষ্টনীর ওপর নজর রাখা সম্ভব হবে।
আপনার মতামত লিখুন :