শিরোনাম
◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

প্রকাশিত : ০৪ অক্টোবর, ২০২১, ০৫:৫০ বিকাল
আপডেট : ০৪ অক্টোবর, ২০২১, ০৭:১০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজ থেকে ৪টি বিষধর সাপ ও ৫০টি ডিম উদ্ধার

গোলাম সারোয়ার: [২] আশুগঞ্জ ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজ হোস্টেল এলাকা থেকে ৪টি বিষাক্ত সাপ আটক ও ৫০টির বেশি সাপের ডিম উদ্ধার করেছে মো. কামাল হোসেন নামে এক সাপুড়ে ও তার দল। সোমবার (০৪ অক্টোবর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৪ ঘন্টা কলেজের হোস্টেল ও মাঠে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়।

[৩] গত শনিবার রাতে কলেজ হোস্টেল থেকে একটি গোখরা সাপ মারার পর ও গতকাল সোমবার সকালে হোস্টেল ডাইনিং এ আবার সাপ দেখা দেয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষ সাপুড়ের শরণাপন্ন হন। এদিকে একই দিন সকালে উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের মৈশাইর গ্রাম থেকে আরো ৩টি বড় বিষাক্ত সাপ ও ২টি সাপের বাচ্চা উদ্ধার করে তারা।

[৪] কলেজ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে কলেজ হোস্টেলের একটি কক্ষে সাপ দেখতে পায় আবাসিক ছাত্ররা। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিষাক্ত সাপটি মেরে ফেলে। এদিকে গতকাল সোমবার সকালে আবারও ছাত্ররা আরো একটি সাপ দেখতে পেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ কুমিল্লার সাপুড়ে কামাল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে। সাপুড়েদল এসে সোমবার দুপুরে এসে কলেজ হোস্টেল এলাকায় বিশেষ কায়দায় অভিযান চালিয়ে দুইটি কালি গোখরো, একটি দারাশ ও একটি গোখরো সাপ ধরে। পরে ফেটে যাওয়া কলেজ হোস্টেলের মেঝ (ফ্লোর) খুড়ে জমাট বাধা অবস্থায় প্রায় ৫০টি সাপের ডিম উদ্ধার করে।

[৫] সাপুড়েদল জানায়, ৮-১০ দিনের মধ্যে এসব ডিম থেকে সাপের বাচ্চা জন্ম নিত। এদিকে একই দিন সকালে উপজেলার তালশহর ইউনিয়নের মৈশাইর গ্রামের রব আলীর বাড়ি থেকে ৩টি সাপ ও দুইটি সাপের বাচ্চা উদ্ধার করে।

[৬] সাপুড়ে মো. কামাল হোসেন জানায়, বর্ষার সময় উজান থেকে নেমে আসা পানির সাথে এসব সাপ পাহাড় থেকে ভেসে এসে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয়। ধৃত সাপগুলির মধ্যে কালি ফানুস, দাড়াস ও গোখরো রয়েছে। এসব সাপ বিষধর।
তিনি বলেন, বর্ষার সময় উজান থেকে এসব সাপ এসে ঝোপঝাড় ও যেসব স্থানে খাবার পাওয়া যায় সেসব স্থানে আশ্রয় নেয়।

[৭] এব্যাপারে ফিরোজ মিয়া সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আহম্মদ উল্লাহ খন্দকার বলেন, দুইদিন আগে একটি সাপ মেরে ফেলার পর গতকাল (সোমবার) আবার সাপ দেখা যাওয়ায় আমরা সাপুড়ে দলকে খবর দেই। তারা গোখরাসহ ৪টি বিষধর সাপ উদ্ধার ও ৫০টির বেশি সাপের ডিম উদ্ধার করে।

[৮] এব্যাপারে উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. ছাইফুল ইসলাম বলেন, সাপসহ বন্য প্রাণির আবাসস্থল ও খাদ্য সংকটসহ নানা কারনে প্রায় বিপন্ন। বিপন্ন প্রজাতির প্রাণি নিজেদের রক্ষার্থে আতংকে থাকে। ফলে এসব সাপ লোকজনের চলাফেরায় সামনে পড়লে আক্রমন করতে পারে। তিনি আরও জানান, লোকালয়ের পাশে উচ্ছিস্ট খাবারসহ ইদুর, ব্যাঙ থাকায় বিভিন্ন ঘরবাড়ি কোনায় ও পরিত্যাক্ত স্থানে আশ্রয় নিচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়