শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ০৪ অক্টোবর, ২০২১, ০২:২৪ রাত
আপডেট : ০৪ অক্টোবর, ২০২১, ০২:২৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুশফিক ওয়াদুদ: দেশের সাংবাদিকতা সেলফ সেন্সরশিপে আক্রান্ত

মুশফিক ওয়াদুদ: একজন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার পর ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা এবং গণযোগাযোগ বিভাগের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এটা ঠিক অনেক সময় আত্মহত্যা ঘটনার পেছনে পারিপার্শ্বিক কারণ ভ‚মিকা রেখেছে তাও ঠিক বলা যায় না এবং আত্মহত্যার পেছনে কোনো কারণ অনুসন্ধান করতে যাওয়াটিও ঠিক নয়। কারণ পৃথিবীতে সব সমস্যাই সমাধানযোগ্য। আত্মহত্যার কোনো এক্সকিউজ বের করতে যাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু এ ঘটনা এবং সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা দিয়ে এটি সহজেই বুঝতে পারা সম্ভব যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে বড় ধরনের সমস্যা বিদ্যমান। শিক্ষার্থীরা কিছু শিক্ষকদের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে ক্ষুব্ধ। কিন্তু ক্যারিয়ারের ক্ষতি হবে ভেবে এগুলো প্রকাশ করতে পারেন না। অনেকে লিখেছেন শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন থেকে প্রতিবাদ করেন না। এখন প্রশ্ন হলো এ ধরনের অনিয়ম বিদ্যমান থাকা সত্তে¡ও সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীরা এগুলো মিডিয়ার সামনে কেন আনেন না?

কেন পত্রিকার পাতায় এসব অনিয়ম নিয়ে আলোচনা হয় না? এখানেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ ব্যর্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। সত্যিকার সাংবাদিক তৈরি করতে পারেনি। কেন এসব অনিয়ম মিডিয়াতে আসে না? কারণ সাংবাদমাধ্যমগুলোর বেশিরভাগ হর্তাকর্তারা হচ্ছেন সেসব শিক্ষকদের ছাত্রছাত্রী যারা এসব অনিয়মের সাথে জড়িত। ধারণা করি সম্পর্কের কারণে, শ্রদ্ধার কারণে এসব বড় বড় সাংবাদিকরা এসব অনিয়মের সংবাদ চেপে যান।

একটি উদাহরণ দিই। আমার একজন খুবই পছন্দের সাংবাদিকের কথা মনে পড়ছে। খুবই প্রতিভাবান সাংবাদিক। এখন এনজিওতে কাজ করেন। সব ধরনের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করেন। কিন্তু তার বিভাগের একজন ‘স্যার’ নিয়ে আলোচনা শুরু হলে প্রথমেই পক্ষ নিয়ে বসেন। এই স্যার তার কাছে ফেরেশতাতুল্য। এটি আসলে বড় ধরনের সেল্ফ সেন্সরশিপের উদাহরণ। এ ঘটনা এটিই প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের সাংবাদিকতা সেলফ সেন্সরশিপে আক্রান্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোনো বিভাগে এমন অনিয়মের ঘটনা ঘটলে পত্রিকায় বড় বড় রিপোর্ট থাকতো এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। জাকারবার্গ ফেসবুক আবিষ্কার না করলে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের এসব অনিয়মের ঘটনা হয়তো কখনই জানতে পারতাম না। এসব অনিয়মের যারা ভুক্তভোগী, তারা নিশ্চয়ই নিদারুণ কষ্টের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করেন। আমাদের আলোচনা, সমাধানের উদ্যোগ তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়