শিরোনাম
◈ হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন ◈ ডোনাল্ড লু’র ছয়দিনের সফর শুরু, ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ আসছেন ১৪ মে ◈ লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু ◈ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস  ◈ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টানা চার জয় বাংলাদেশের ◈ বন্দি ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের তথ্য-ছবি ফাঁস ◈ গাজার রাফাহজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও বোমাবর্ষণ ◈ কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজস্ব আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান ◈ আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে: ওবায়দুল কাদের ◈ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা শেষ, এখন চলবে ফাইজার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৪ অক্টোবর, ২০২১, ০২:২৪ রাত
আপডেট : ০৪ অক্টোবর, ২০২১, ০২:২৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুশফিক ওয়াদুদ: দেশের সাংবাদিকতা সেলফ সেন্সরশিপে আক্রান্ত

মুশফিক ওয়াদুদ: একজন শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার পর ফেসবুকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা এবং গণযোগাযোগ বিভাগের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এটা ঠিক অনেক সময় আত্মহত্যা ঘটনার পেছনে পারিপার্শ্বিক কারণ ভ‚মিকা রেখেছে তাও ঠিক বলা যায় না এবং আত্মহত্যার পেছনে কোনো কারণ অনুসন্ধান করতে যাওয়াটিও ঠিক নয়। কারণ পৃথিবীতে সব সমস্যাই সমাধানযোগ্য। আত্মহত্যার কোনো এক্সকিউজ বের করতে যাওয়া ঠিক নয়। কিন্তু এ ঘটনা এবং সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা দিয়ে এটি সহজেই বুঝতে পারা সম্ভব যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে বড় ধরনের সমস্যা বিদ্যমান। শিক্ষার্থীরা কিছু শিক্ষকদের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে ক্ষুব্ধ। কিন্তু ক্যারিয়ারের ক্ষতি হবে ভেবে এগুলো প্রকাশ করতে পারেন না। অনেকে লিখেছেন শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন থেকে প্রতিবাদ করেন না। এখন প্রশ্ন হলো এ ধরনের অনিয়ম বিদ্যমান থাকা সত্তে¡ও সাংবাদিকতার শিক্ষার্থীরা এগুলো মিডিয়ার সামনে কেন আনেন না?

কেন পত্রিকার পাতায় এসব অনিয়ম নিয়ে আলোচনা হয় না? এখানেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ ব্যর্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। সত্যিকার সাংবাদিক তৈরি করতে পারেনি। কেন এসব অনিয়ম মিডিয়াতে আসে না? কারণ সাংবাদমাধ্যমগুলোর বেশিরভাগ হর্তাকর্তারা হচ্ছেন সেসব শিক্ষকদের ছাত্রছাত্রী যারা এসব অনিয়মের সাথে জড়িত। ধারণা করি সম্পর্কের কারণে, শ্রদ্ধার কারণে এসব বড় বড় সাংবাদিকরা এসব অনিয়মের সংবাদ চেপে যান।

একটি উদাহরণ দিই। আমার একজন খুবই পছন্দের সাংবাদিকের কথা মনে পড়ছে। খুবই প্রতিভাবান সাংবাদিক। এখন এনজিওতে কাজ করেন। সব ধরনের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করেন। কিন্তু তার বিভাগের একজন ‘স্যার’ নিয়ে আলোচনা শুরু হলে প্রথমেই পক্ষ নিয়ে বসেন। এই স্যার তার কাছে ফেরেশতাতুল্য। এটি আসলে বড় ধরনের সেল্ফ সেন্সরশিপের উদাহরণ। এ ঘটনা এটিই প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের সাংবাদিকতা সেলফ সেন্সরশিপে আক্রান্ত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কোনো বিভাগে এমন অনিয়মের ঘটনা ঘটলে পত্রিকায় বড় বড় রিপোর্ট থাকতো এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। জাকারবার্গ ফেসবুক আবিষ্কার না করলে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের এসব অনিয়মের ঘটনা হয়তো কখনই জানতে পারতাম না। এসব অনিয়মের যারা ভুক্তভোগী, তারা নিশ্চয়ই নিদারুণ কষ্টের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করেন। আমাদের আলোচনা, সমাধানের উদ্যোগ তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়