[১] বোয়ালমারীতে মোটরসাইকেল চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে ৫’শ পরিবার
সনতচক্রবর্ত্তী: [২] বোয়ালমারীতে মানুষের বাহনের অন্যতম ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাড়ায় চালিত মোটরবাইক। যা আয় হচ্ছে তা দিয়েই চলছে তাদের সংসার।
[৩] মোটরসাইকেল সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটেছে কিছু পরিশ্রমী ও উদ্যমী যুবকের প্রচেষ্টায়। বেকার না বসে থেকে শক্ত হাতে মোটর সাইকেলের হ্যান্ডেল ধরেছেন। এসব বেকার যুবক মোটরসাইকেল চালিয়ে এক দিকে যেমন যাতায়াতকারীদের জীবনে স্বাচ্ছন্দ্য এনে দিয়েছেন, তেমনি নিজেদের জন্য তৈরি করেছেন একটি কর্মসংস্থান।
[৪] বোয়ালমারীতে উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন রয়েছে। দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে এবং সময় বাঁচাতে যাত্রীরা বিকল্প যান হিসেবে মোটরসাইকেল ব্যবহার করছেন। এতে একদিকে যাত্রীদের যেমন সময় বাঁচে অপরদিকে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান হয়েছে।
[৫] সাতৈর বাজার স্যান্ড থেকে মোটরসাইকেল চালক ছোবান সেখ জানান, একটা সময় তিনি বেকার ছিলেন। অর্থের অভাবে অনেকেই লেখাপড়া করতে পারেনি। তাই তারা জীবিকা উপার্যনের জন্য মোটরসাইকেলে যাত্রী বহনকেই তারা পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
[৬] বোয়ালমারী চৌরাস্তায় থেকে আরেক চালক মোহাম্মদ মতিয়ার সেখ বলেন, “আমি বেকার থেকে পরিবার ও সমাজের বোঝা হয়ে থাকতে চাই না। নিজে কাজ করি পরিবার নিয়ে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করছি। মোটরসাইকেল চালিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩’শ থেকে ৪’শ টাকা আয় হয়। সেই আয় দিয়ে সংসার চলে যাচ্ছে।”
[৭] বোয়ালমারী চৌরাস্তায় চত্বর মোটরসাইকেল সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, এখান থেকে চালকরা জেলার বিভিন্ন স্থানে ভাড়ায় যাত্রী বহন করেন। ওই স্থান থেকে ফরিদপুর জেলা শহরের দূরত্ব ৩৬ কিলোমিটার। এক সঙ্গে দু’জন গেলে ভাড়া নেন ৩’শ টাকা। আমাদের কোনো স্থায়ী স্ট্যান্ড নেই। একটি স্থায়ী স্ট্যান্ড নির্মাণ করে দেয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি।
[৮] বোয়ালমারী জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মদন দাস বলেন “ভাড়ায় চালিত প্রতিটি মোটরসাইকেলের সামনে স্টিকার থাকা উচিত। অন্যথায় সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তিতে পড়তে হচ্ছে। বেকার না থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। যারা ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান তাদের পরিচয়পত্র থাকা প্রয়োজন। যাতে সড়কে কোন দুর্ঘটনায় ঘটলে সহজে শনাক্ত করা যায়। সম্পাদনা: হ্যাপি