ঢাবি প্রতিনিধি :[২] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি আবাসিক হলে জোর করে প্রবেশের বিষয়ের দিকে ইঙ্গিত করে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শৃঙ্খলা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা এগুলো আমাদের অগ্রাধিকারে আছে।
[৩] শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদভুক্ত 'খ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে কলা ভবনের সামনে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন উপাচার্য।
[৪] এর আগে শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল ও ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল শতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী জোর করে উঠে যায়। হল প্রশাসন তাদের চলে যেতে অনুরোধ করলেও সে অনুরোধকে পাত্তা দেয়নি শিক্ষার্থীরা। পরে হল ছাত্র প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে তাদের বোঝাতেও ব্যর্থ হয় হল প্রশাসন।
[৫] শিক্ষার্থীদের জোর করে হলে উঠে যাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উপাচার্য বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিকহলগুলো পাঁচ অক্টোবরই খুলবে। এ জন্য হল প্রাধ্যক্ষবৃন্দ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
[৬] উপাচার্য বলেন, আজকে সন্ধ্যায় প্রভোস্ট কমিটির জরুরি সভা ডাকা হয়েছে। সেখান থেকে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যগুলো নিয়ে তারপর আমরা বুঝতে পারব কী অবস্থা। এরপর আমরা পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিব। শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোন বিষয় বিশ্ববিদ্যালয় বরদাশত করে না। শৃঙ্খলা স্বাস্থ্য সুরক্ষা আমাদের অগ্রাধিকারে আছে।
[৭] তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, প্রশাসন তাদের সঙ্গে অভিভাবকসুলভ আচরণ করেননি। পাঁচ দিনের জন্য যেন আমাদের সম্পূর্ণ বাসা বাড়া দিতে না হয় সে জন্য আমাদের দাবি ছিল, এক তারিখ থেকে হল খোলার। কিন্তু প্রশাসন আমাদের দাবির প্রতি কর্ণপাত না করেই এমন তারিখে হল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যেটি অযৌক্তিক। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। তাই আমরা বাধ্য হয়ে হলে উঠেছি। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ