রহিদুল খান : [২] নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি আগামী ১১ নভেম্বর চৌগাছা উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য চেয়ারম্যান পদে শতাধিক প্রার্থী এবং মেম্বর পদে কয়েকশো প্রার্থী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
[৩] তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২০ অক্টোবর, বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের ২১ থেকে ২৩ অক্টোবর, আপিল নিষ্পত্তি ২৪ ও ২৫ অক্টোবর, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৬ অক্টোবর, প্রতীক বরাদ্দ ২৭ অক্টোবর ও ১১ নভেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করা হবে।
[৪] দলীয় প্রতিকে নির্বাচন হওয়ার পর থেকে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীরা দলীয় প্রতিকে নির্বাচনে করে থাকে। সেই হিসেবে চৌগাছা উপজেলার ১১ ইউনিয়নেই আওয়ামীলীগের প্রার্থীরা নৌকা প্রতিক নিয়ে এবং বিএনপির দলীয় প্রার্থীরা ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে থাকে।
[৫] এবছর ও বিএনপি ও আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা দলীয় প্রতিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য জোর প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। কিন্তু সম্প্রতি বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে এই সরকারের অধীন সকল নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দিলে রণেভঙ্গ দেয় বিএনপি দলীয় মনোনয়ণ প্রত্যাশীরা। তাদের মধ্যে হাতে গোনা দুইতিন জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও বেশিরভাগ প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
[৫] নির্বাচনে অশগ্রহণের ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি জহুরুল ইসলাম বলেন আমাদের দল এই সরকারের অধীন সকল নির্বাচন বয়কট করেছে যে কারণে চৌগাছা উপজেলার নির্বাচনে বিএনপির কোন প্রার্থী থাকবেনা। তিনি আরো বলেন তবে দলীয় কোন লোক যদী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে দলের কোনো আপত্তি থাকবেনা। তবে দলের বিভিন্ন গ্রামের তৃণমুলের নেতাকর্মিরা নির্বাচনে জড়িয়ে যেতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন অনেক নেতৃবৃন্দ।