সোহেল মিয়া: [২] রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানার হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেয়েছে দুই স্কুল শিক্ষার্থী। সরকার ঘোষিত বিয়ের প্রাপ্ত বয়স না হওয়ায় এদের বিয়ে বন্ধ করে দেন ইউএনও এবং বিয়ে বাড়ীর সকল আনুষ্ঠানিকতা ও কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। আর এ কাজে সহযোগিতা করেন কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা।
[৩] শুক্রবার (১ অক্টোবর) দুপুরে বালিয়াকান্দির ইসলামপুর ইউনিয়নের বেড়াডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বাল্যবিয়ের শিকার হওয়া দুইজনের মধ্যে একজন বহরপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। অপর জন একই বিদ্যালয়ের ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
[৪] বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি বেড়াডাঙ্গা গ্রামের দুইজন কিশোরীকে বাল্যবিয়ে দেওয়া হচ্ছে। খবর শোনার পর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা জেসমিনকে নির্দেশ দিলে সে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যদের ঘটনাস্থলে পাঠায়। ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা বাল্যবিয়ের সতত্য পেলে ঐ বিয়েগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়।
[৫] এ সময় ইউএনও আরো বলেন, ঐ দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছ থেকে অঙ্গিকার নামা নেওয়া হয়েছে। ১৮ বছর পূর্ণ না হলে তারা তাদের মেয়েদেরকে বিয়ে দিবেন না বলে লিখিত দিয়েছেন।
[৬] বালিয়াকান্দি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আফরোজা জেসমিন বলেন, ইউএনও স্যারের কাছ থেকে সংবাদ পাওয়ার পরই কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যদেরকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। এর আগের শুক্রবারও (২৪ সেপ্টেম্বর) সদরের পাইককান্দি গ্রামে ইউএনও স্যারের নির্দেশে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা একটি বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ