শিরোনাম
◈ ইসরায়েল খেললে বিশ্বকাপ ফুটবল বয়কট কর‌বে স্পেন ◈ এ‌শিয়া কা‌পে রা‌তে শ্রীলঙ্কা - আফগা‌নিস্তান মু‌খোমু‌খি, লঙ্কান‌দের জয় দেখার অ‌পেক্ষায় বাংলাদেশ  ◈ আওয়মী লীগ বিহীন বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে এখন যে সব চিন্তাভাবনা  ◈ চ‌্যা‌ম্পিয়ন্স লিগ, চেলসিকে হা‌রি‌য়ে বায়ার্ন মিউ‌নি‌খের শুভ সূচনা ◈ কিশোরগঞ্জ সম্মেলনে যাওয়ার জন্য স্থগিতাদেশ উঠিয়ে দিন, না হলে ভিন্ন পথ নেবো, জানালেন ফজলুর রহমান ◈ দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে নতুন অস্থিরতা ◈ হ‌্যান্ড‌শেক না করায় অপরাধ হিসা‌বে ভারতের ম‌্যাচ ফি ৫০ ভাগ একং ২‌টি ডি‌মে‌রিট প‌য়েন্ট জ‌রিমানা হ‌তে পা‌রে ◈ এআই, কোয়ান্টাম ও নিউক্লিয়ার এনার্জিতে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বড় চুক্তি ◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ

প্রকাশিত : ০১ অক্টোবর, ২০২১, ০১:৫৫ রাত
আপডেট : ০১ অক্টোবর, ২০২১, ০১:৫৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুসা কলিম মুকুল: ছোট চুল, বড় চুল এবং আমাদের স্যার-ম্যাডামগণ

মুসা কলিম মুকুল: সে আমার ভীষণ প্রিয় ছাত্র, তার ছোট ছোট চুল। আগে তার কাঁধ পর্যন্ত লম্বা চুল ছিলো। জলপ্রপাতের মতো নেমে আসতো সেই চুল। সে আমার প্রিয় তার লেখাপড়ার জন্য নয়। লেখাপড়ায় সে খুব একটা মনোযোগী নয়। তবে সঙ্গীতে সে অসাধারণ। তার গীটার বাজানো আমাকে খুব আনন্দ দেয়, আমাকে আমার কাছে নিয়ে যেতে চায়। মঞ্চে বাজানোর সময় তার জলপ্রপাত চুলে নৃত্য খেলার স্মৃতি এখনো আমাকে মুগ্ধ করে। খুব সাধাসিধে শান্ত ছেলে অথচ প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর। আমার কাছে সঙ্গীতের নানা বিষয়ে প্রশ্ন তার। তখন তার মনোযোগের গভীরতা দেখে কে? লম্বাচুল নিয়ে কলেজে এলেই শিক্ষকদের নানা মন্তব্য শুনতে হতো তার। ফলে কলেজে সে আসা বন্ধ করে দিলো। একদিন ক্লাসরুমে ঢুকতে গিয়ে দেখি, বইখাতা নিয়ে মাথা নত করে সেও ক্লাসে ঢুকছে পরের দরজা দিয়ে।

মাথার চুল ছোট ছোট করে ছাঁটা। ক্লাস শেষে জিজ্ঞেস করলাম, ‘চুল কোথায়?’ চোখের তারার বেদনা ঢাকতে ঠোঁট প্রসারিত করে হাসির ভাব আনার চেষ্টা করলো ছেলেটি, ‘স্যারেরা, ম্যাডামেরা খুশি হয় না।’ কিছু কিছু স্যারেরা, ম্যাডামেরা কেন এই বিনয়ী ছেলেটির অপূর্ব সুন্দর চুল দেখে খুশি হতে পারেন না? তারা আসলে স্যাডিস্ট। নিজের অবদমন এবং যৌনাবদমনকে ধর্মের নামে, আদবের নামে, শৃঙ্খলার নামে অন্যদের ওপর চাপিয়ে না দিয়ে তারা পারেন না। এই চাপিয়ে দেওয়ার পদাধিকার-ক্ষমতাটুকু ছাড়া তাদের ভাঁড়ারে কিচ্ছু নেই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, এসব শিক্ষকদের মুখস্তবিদ্যে তাদের ছাত্রজীবনের পরীক্ষার খাতায় পুরোটাই বয়ে গেছে। শ্রেণিকক্ষে তাদের দৌড় কেবল পরীক্ষার খাতায় বন্যা বইয়ে দেওয়ার ছক কষা পর্যন্ত। তারা কেবল ব্যক্তিগতভাবে সফল আত্মরতিওয়ালা মানুষ গড়তে আগ্রহী। সে ক্ষমতাও খুব একটা নেই আর তাদের। প্রজ্ঞা, দক্ষতা ও মানসিকতা নিয়ে প্রকৃতি ও দেশের মানুষকে সেবা করতে আগ্রহী যে মানুষ- তেমন মানুষ গড়ার চিন্তা তাদের মাথায় স্থান পাবার নয়। যদিও এই দেশের নাম বাংলাদেশ। এই দেশ কুদরাত-ই-খুদার দেশ। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়