শওগাত আলী সাগর: ডিবিসি টেলিভিশনের খবরের একটি ক্লিপ দেখলাম। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর বক্তব্য প্রচার করেছে চ্যানেলটি। শিক্ষার্থীরা শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনকে ‘পারভার্ট’ ‘বিকৃত রুচি’ ‘মানসিক অসুস্থ’ বলে বক্তব্য দিচ্ছিলো। একজন তো ঠিকমতো কথাই বলতে পারছিলো না, কেমন জড়িয়ে যাচ্ছিলো। ডিবিসির এই ক্লিপটি দেখে বার বার মনে হচ্ছিলো- এই ছেলেদের কারো চুল কেটে দিয়েছেন কোনো একজন মহিলা, আর তারা সুবোধ বালকের মতো সেটি মেনে নিয়েছেন, (নিদেনপক্ষে কেউ একজন সেলফোনে ছবি বা ভিডি ্ও করেননি) প্রতিকার চাইতে আন্দোলনে নেমেছেন- সেটা বিশ্বাস করা কঠিন। টিভির পর্দায় তাদের অভিব্যক্তি এবং শব্দচয়ন দেখে সংশয় জাগছিলো- এরা সত্যিই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তো!
কোনো কোনো মিডিয়া দেখছি ফারহানার বিরুদ্ধে অভিযোগকে ’শক্ত করতে’ এইসব শিক্ষার্থীরা যা বলছে তাই প্রকাশ করছে।এইসব বক্তব্য প্রচার করা যায় কী না, ফারহানা সত্যি সত্যিই এসব কথা বলছেন কী না- এগুলো সাংবাদিকতার গ্রামারের বিবেচনায় প্রয়োজনীয় কী না- সেটি তাদের কেউ ভাবছেন বলে মনে হচ্ছে না।
ফারহানা কোনো শিক্ষার্থীর চুল নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে থাকলে সেটি অন্যায় করেছেন, নিজ হাতে চুল কেটে থাকলে সেটি মস্ত অন্যায় করেছেন। সঠিক তদন্তে সেটি প্রমানিত হবে তিনি কী করেছেন। কিন্তু শিক্ষার্থী পরিচয়ে জাতীয় প্রচার মাধ্যমে যে ধরনের বক্তব্য দেয়া হচ্ছে এবং মিডিয়া সেগুলোকে উৎসাহ দিয়ে প্রচার করছে- এর প্রয়োজনীয়তা এবং যৌক্তিকতা নিয়ে ভাবা দরকার।