হাসান শান্তুনু : বিদেশ থেকে প্রচারিত ‘উদ্ভট রহস্যঘেরা’ অনলাইন পোর্টাল ‘নেত্র নিউজ’ কী লেখে, না লেখে- সেটা তাদের নিজস্ব নীতি। কোন রাজনৈতিক দল, সরকারের পক্ষ নেবে, কী বিরোধিতা করবে- এ স্বাধীনতাও তাদের আছে। পোর্টালটিতে এমন একাধিক প্রতিবেদন প্রচারিত হয়েছে, যা দেশের ভেতরের কোনো প্রচারমাধ্যমে প্রকাশ, প্রচার হতো না বলে মনে করার যুক্তি আছে। দল, সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগের সমালোচনা, ব্যর্থতা আছে, সেগুলো তুলে ধরার অধিকার যেকোনো প্রচারমাধ্যমেরই আছে। প্রচারের শুরু থেকেই নেত্র নিউজ শুধু আওয়ামী লীগ, দলটির নেতৃত্বের সরকারের বিরুদ্ধে লিখছে।
দেশের আর কোনো রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠীর বেলায় ওই অনলাইন পত্রিকা একটা শব্দও খরচ করে না। কোনো ভূখণ্ডের সব রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠীর বিষয়ে মুখ বন্ধ রেখে শুধু নির্দিষ্ট একটা দল, সরকারকে টার্গেট করে বিরোধিতা করা কী পত্রিকার বৈশিষ্ট্য হতে পারে? এদেশে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের জঙ্গিবাদে মদদ, মৌলবাদ ইত্যাদি বিষয়ে অনুসন্ধানী,বিশ্লেষণমূলক কোনো লেখা নেত্র নিউজে নেই কেন? অনলাইনের কার্যক্রম সাধারণত চলে নিরন্তর। ওই পোর্টাল প্রতিবেদন প্রচার করে বিশেষ বিশেষ সময়ে, যা অসততা পর্যায়ের। নেত্র নিউজ সম্প্রতি কথিত এক প্রতিবেদনে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে- বিচারবহির্ভূত হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইউকে ‘যুক্তরাজ্য’ আরোপিত স্যাংশনের মুখোমুখি হতে পারেন বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা।
এতে বলা হয়- শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারের নেতৃস্থানীয় সদস্যদের ওপর স্যাংশন আরোপের জন্য ইউকে সরকারের কাছে আবেদন করে ‘গারনিকা-৩৭’ নামের একটা সংগঠন। যুক্তরাজ্যের সাদা চামড়ার ধান্ধাবাজ কয়েক আইনজীবীর সংগঠন ‘গারনিকা-৩৭’। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে তারা বিভিন্ন দেশের বিতর্কিত, নিষিদ্ধ সংগঠনের পক্ষে ভাড়ায় খাটেন। সংগঠনটির শীর্ষ নেতা টোবি ক্যাডম্যান ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধিতার জন্য ইউরোপে জনমত গঠনের জন্য চুক্তিবদ্ধ। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে জামায়াতের আইনি প্রতিনিধিত্বকারী। এমন ধান্ধাবাজদের আবেদনে যুক্তরাজ্যের সরকার এদেশের কোনো রাজনীতিবিদের দেশটিতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেবে, এটা পাগলের ভাবনা । ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :