হাসান তাকী : [২] মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকেও অভিযান চলছিল বলে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পুলিশ সুপার আ ন ম ইমরান খান জানিয়েছেন।
[৩] র্যাব কর্মকর্তা খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের বলেন, নির্মাণাধীন ওই ভবনের ভেতর থেকে ৭০০ বোতল বিদেশি মদ, ২ হাজার ৫০০ বোতল দেশি বিয়ার এবং ১ হাজার ৫০০ বোতল বিদেশি বিয়ার জব্দ করা হয়েছে। এসব মদের আনুমানিক মূল্য কোটি টাকার বেশি।
[৪] সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘পিকক বারের ভেতরে কী পরিমাণ মালামাল রয়েছে, সে বিষয়ে জানতে বারের মালিককে ডেকেছি। জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।’
[৫] আ ন ম ইমরান খান বলেন, শাহবাগ এলাকার হাবিবুল্লাহ রোডের একটি নির্মাণাধীন ভবনে এই অভিযান চলছে। সেখানে বিপুল পরিমাণ দেশি–বিদেশি মদ ও বিয়ার পাওয়া গেছে।
[৬] গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে চারতলায় কিছু অবৈধ মাদক পাওয়া যায়। চারতলা থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদক জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও অভিযান চলাকালে নিচতলায় সুড়ঙ্গের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকেও বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদক জব্দ করা হয়।
[৭] তিনজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, যাদের মাদকের লাইসেন্স নেই, যারা বাসায় বসে মদপান করে ও বাসায় বিভিন্ন মিনিবার পরিচালনা করে তাদেরকে বিভিন্ন সময় এখান থেকে মদ-বিয়ার সাপ্লাই দেওয়া হতো।
[৮] পিকক বারের লোকেশন শাহবাগ থানা থেকে খুবই সন্নিকটে। এমন বিপুল পরিমাণ অবৈধ মদ রাখার বিষয়ে থানার কী কোনও ব্যর্থতা রয়েছে বলে মনে করেন কি-না। এমন প্রশ্নের উত্তরে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, এইবারে যেভাবে মদ ও বিয়ার রাখা হয়েছে তা খুঁজে বের করা খুবই ডিফিকাল্ট। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও র্যাবের যারা এখানে অভিযান পরিচালনা করছে তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।
[৯] এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানায় র্যাব।