আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] সাবেক ধর্মীয় পুলিশ প্রধানের প্রকাশ্য অঙ্গহানীর ঘোষণার পর হেরাতের মোড়ে ঝুললো সন্দেহভাজন অপহরণকারীর লাশ।
[৩] তালিবানের এক কর্মকর্তা মৃত্যুদণ্ড এবং অঙ্গহানির মতো কঠোর শাস্তি আবার শুরু হওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়ার একদিন পর এই ভয়াবহ ঘটনা ঘটলো। একজন ব্যবসায়ী এবং তার ছেলেকে জিম্মি করার অভিযোগের পর বন্দুকযুদ্ধে ওই ব্যক্তিরা নিহত হয়। শহরচির ক্রেদ্রে এই লাশগুলো প্রদর্শন করা হয়। বিবিসি
[৪] চারটি মৃতদেহ শহরের প্রধান মোড়ে আনা হয়, একটিকে সেখানে ঝুলিয়ে রাখা হয় এবং বাকি তিনটি লাশ প্রদর্শনের জন্য শহরের অন্যান্য মোড়ের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। হেরাতের ডেপুটি গভর্নর মৌলভী শাইর বলেন, অপহরণের মতো ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্যই মৃতদেহগুলি এভাবে ঝুলিয়ে প্রদর্শন করা হয়েছে। তিনি বলেন, একজন ব্যবসায়ী এবং তার ছেলেকে অপহরণের খবর পেয়ে তালিবান সদস্যরা তাদের গুলি করে হত্যা করে। এপি
[৫] সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা ছবিতে দেখা গেছে যে, একটি পিক-আপ ট্রাকের পিছনে রক্তাক্ত দেহ দেখা যাচ্ছে যেখানে একজনের মরদেহ ক্রেনের সঙ্গে ঝুলে আছে। আরেকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, একজন ব্যক্তিকে ক্রেন থেকে ঝুলিয়ে দেওয়ার পর তার বুকে লেখা হয়েছে, ‘অপহরণকারীদের এভাবে শাস্তি দেওয়া হবে।’ এএফপি
[৬] আফগানিস্তানে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তালিবানরা তাদের আগের শাসনামলের তুলনায় একটি কিছুটা নমনীয় শাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে। কিন্তু ইতোমধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য ঘটনার উল্লেখ পাওয়া গেছে।