আবু মুত্তালিব: [২] বগুড়ার আদমদীঘির নিহত গৃহবধূ রুমি আক্তার (২০) এর হত্যার এগার মাস পর ময়নাতদন্ত রির্পোট পুলিশের হাতে গত ২২ সেপ্টেম্বর পৌঁছেছে। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে রির্পোটে উল্লেখ করা হয়।
[৩] এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় নিহতের মা ছাতারবাড়ি গ্রামের আদরী বিবি বাদী হয়ে যৌতুকের জন্য মারপিট ও গর্ভপাত ঘটিয়ে হত্যা করার অভিযোগে স্বামী শশুড়সহ চারজনের বিরুদ্ধে গত ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। সন্ধ্যায় পুলিশ নিহতের স্বামী আদমদীঘি উপজেলার ছাতারবাড়িয়া গ্রামের হাসান প্রামানিক (২২), স্বশুড় আমজাদ হোসেন (৫০) ও ভাসুর আনছার আলী (২৬)কে গ্রেপ্তার করেছে।
[৪] পুলিশ জানান, আদমদীঘি উপজেলার চাঁপাপুর ইউনিয়নের ছাতারবাড়ি গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে হাসান প্রামানিকের সাথে প্রায় দেড় বছর আগে একই গ্রামের এমদাদুল হক দুদুর মেয়ে রুমি আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী শশুড় ও ভাসুরের সাথে পারিবারিক কলহ ছিল। কলহের কারনে নিহত রুমির স্বামী হাসান প্রামানিকের সাথে বিরোধ চলে।
[৫] গত ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর সকালে গৃহবধু রুমি আক্তারের মরদেহ তার স্বামীর বাড়ির দ্বিতলা ঘরের একটি কক্ষ থেকে পুলিশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া মর্গে প্রেরন করে।
[৬] দীর্ঘ এগার মাস পর গত ২২ সেপ্টেম্বর পুলিশের নিকট ময়নাতদন্ত রির্পোট পৌঁছে। রির্পোটে গৃহবধূ রমি আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বলে মামলার তদন্তকারি উপ-পরিদর্শক সোলায়মান আলী জানায়।
আপনার মতামত লিখুন :