আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে। তাদের তথ্যমতে, এ সময় দেশটিতে অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যার প্রবৃদ্ধিতে তেমন একটা পরিবর্তন ঘটেনি। স্বাধীনতার পর ১৯৫১ সালে দেশটিতে প্রথম আদমশুমারি হয়। ওই সময় ভারতের মোট জনসংখ্যা ছিল ৩৬ কোটি ১০ লাখ। পরবর্তী ছয় দশকে ভারতের জনসংখ্যা তিন গুণের বেশি বেড়েছে। সবশেষ ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, ভারতের জনসংখ্যা ১২০ কোটির বেশি। পিউ রিসার্চ
[৩] ১৯৫১ সালে দেশটিতে হিন্দু ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা ছিল ৩০ কোটি ৪০ লাখ। ২০১১ সালে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬ কোটি ৬০ লাখে। একই সময়ে ভারতে মুসলিমদের সংখ্যা সাড়ে ৩ কোটি থেকে বেড়ে ১৭ কোটি ছাড়িয়েছে। ছয় দশকে দেশটিতে খ্রিষ্টানদের সংখ্যা ৮০ লাখ থেকে বেড়ে প্রায় ৩ কোটির কাছাকাছি পৌঁছেছে।
[৪] বর্তমানে ভারতের মোট জনসংখ্যার ৯৪ শতাংশ হিন্দু ও মুসলিম। দেশটিতে খ্রিষ্টান, শিখ, বৌদ্ধ, জৈনসহ অন্যান্য ধর্মের মানুষ রয়েছে ৬ শতাংশ। ভারতের মোট জনসংখ্যার ৭৯ দশমিক ৮ শতাংশ হিন্দু। বিশ্বের মোট হিন্দুদের ৯৪ শতাংশ ভারতে বসবাস করে। দেশটির মোট জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ২ শতাংশ মুসলিম। ৩০ হাজার ভারতীয় কোনো ধর্মে বিশ্বাস করে না। প্রধান ছয়টি ধর্মের বাইরে ভারতে আরও ৮৩টি ক্ষুদ্র ধর্মীয় গোষ্ঠী রয়েছে। তাদের সম্মিলিত সংখ্যা প্রায় ৮০ লাখ।
[৫] গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৫ সালে ভারতে মুসলিম নারীদের সন্তান জন্মহার ছিল বেশি, নারীপ্রতি ২ দশমিক ৬। ১৯৯২ সালে এটা ছিল আরও বেশি, ৪ দশমিক ৪। ২০১৫ সালে ভারতের হিন্দুধর্মাবলম্বীদের নারীপ্রতি সন্তান জন্মদান ছিল ২ দশমিক ১। ১৯৯২ সালে তা ছিল ৩ দশমিক ৩। ২০১৫ সালে ভারতীয় জৈন নারীদের সন্তান জন্মহার অন্যান্য ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর তুলনায় কম ছিল, নারীপ্রতি ১ দশমিক ২।
আপনার মতামত লিখুন :