শিরোনাম
◈ কলকাতায় ভাঙচুরের ঘটনায় লিওনেল মেসি দায়ী: সু‌নিল গাভাস্কার ◈ ডিসেম্বরের মধ্যে পাঁচ ব্যাংকের আমানতকারীদের আমানত ফেরত দেওয়ার নির্দেশ গভর্নরের ◈ মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা ছাড়া ভারত বিজয় অর্জন করতে পারতো না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ◈ সৌদিতে হলরুম ভাড়া করে নির্বাচনী সভা করায় কয়েকজন বাংলাদেশি আটক ◈ ৩০০ আসনের লড়াই: আসন ছাড়ে অনীহা, জোট রাজনীতিতে বাড়ছে টানাপোড়েন ◈ হাদিকে গুলি: প্রধান অভিযুক্তের ‘জামিন বিতর্ক’ নিয়ে যা বললেন আইন উপদেষ্টা ◈ পে স্কেল নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে যে সিদ্ধান্ত নিল কমিশন ◈ মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ট্রাভেল পাস চাননি তারেক রহমান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে বৈঠকে লন্ডন গেলেন জামায়াত আমির ◈ সরকারি গাড়িতে যুগ্ম সচিবকে জিম্মি, ৬ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টা

প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:৪৪ রাত
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:৪৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাফর ওয়াজেদ: পঁচাত্তরে বাংলাদেশ কেমন ছিলো? একটি মূল্যায়ন

জাফর ওয়াজেদ: জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি ও সুইস কুটনীতিক ড. ভিক্টর এইচ উমব্রিখ্ট ব্যাংককে মার্কিন দূতাবাসের মাধ্যমে ১৭ নভেম্বর ৭৫ এ এক চিঠি লিখেছিলেন। ওই চিঠির উল্লেখযোগ্য অংশের উদ্ধৃতি ব্যাংককের মার্কিন রাষ্ট্রদূত শেল্ডন হোয়াইটহাউজ পরদিন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঠান।

হোয়াইটহাউজ লিখেছিলেন, ৩ নভেম্বর আমি ঢাকা থেকে ফিরি। তিনি লিখেছেন, ‘সত্য বলতে কী বাংলাদেশের রাজনীতিক ও সামরিক বাহিনীর ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থান নিয়ে তর্ক-বিতর্ক ও মতবিরোধ ছিলো। তাদের অনেকেই মুজিব ও জাতীয় চার নেতার হত্যার বিষয়ে ঘাতক মেজরদের সাথে নেই। তাঁরা ঘাতকদের ক্রিমিনাল হিসাবে কাঠগড়ায় দাঁড় করবার চেষ্টা করছেন। আমি ওই দেশ হতে কলকাতা হয়ে ইউরোপে চলে আসি’।

জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ড. উমব্রিখ্ট মুজিব সরকারের সাফল্যের একটি চিত্র ও উল্লেখযোগ্য অংশের বিবরণ দেন। তিনি লিখেছেন, ‘গত ১২ মাস ( এক বছর) ধরে দেশের অর্থনীতির বিরাট উন্নতি ঘটেছিলো। ভালো খাদ্য পরিস্থিতি, বৃহত্তর খাদ্য মজুত, ব্যাপক রপ্তানি ও ঘাটতিবিহীন বাজেটও ছিলো। ধর্মঘট ছিলো না, জনহিতকর কর্মসূচি ছিলো, কাজের বিনিময়ে খাদ্য প্রকল্প, কম বেকারত্ব, অধিকতর দক্ষ জনপ্রশাসন প্রভৃতি। কিন্তু এতদ্বসত্তেও রাজনৈতিক নেতৃত্বের উত্তম অংশটিকে কেন নির্মূল করা হলো তা বোধগম্য নয়। আমাদের তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ’।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই খুনি মেজরদের যেন আশ্রয় না দেয় সেটা জানিয়ে বলেন, ‘এই সামরিক ব্যক্তিরা বড় রকমের দুর্বৃত্ত তারা কেবল শেখকেই হত্যা করেনি, তারা তাঁর স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে খুন করেছে। তারা হত্যা করে শেখের দুই বিবাহিত পুত্রকে, সঙ্গে তাদের তরুণী স্ত্রীদেরও ( যাদের একজনের বিয়ের বয়স হয়েছিল ১৫ মাস, অন্য জনের ৩ সপ্তাহ) হত্যা করে। তারা শেখের ১১ বছরের কনিষ্ঠ পুত্রকে বাগানে ধাওয়া করে এবং গুলি করে হত্যা করে’।

ড. উমব্রিখ্ট লেখেন, এই চরম নৃশংসতা ও নিষ্ঠুরতার সবটা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। এই দুর্বৃত্তদের দেশে ফেরত পাঠানো উচিত এবং একটি সামরিক আদালতে তাদের বিচার হওয়া উচিত, এদের যুক্তরাষ্ট্রে ঠাঁই হতে পারে না’। উল্লেখ্য ওই সময় খুনিরা ব্যাংককে অবস্থান করছিলো । লেখক : মহাপরিচালক, পিআইবি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়