লিহান লিমা: [২] পিডব্লিউসি, রাবেব্যাংক এবং টেমাসেকের একটি নতুন যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ান ভোক্তারা ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের খাবার ব্যয় দ্বিগুণ করবে যা এই অঞ্চলের খাদ্যব্যয়ের পরিমাণ ৮ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। যা বিনিয়োগকারীদের জন্য আরো স্বাস্থ্যকর ও টেকসই বিকল্প নিয়ে আসছে। সিএনবিসি
[৩] টেমাসেকের কৃষ্টি ব্যবসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক, অনুজ মহেশ্বরী মঙ্গলবার সিএনবিসির ‘স্কোয়াক বক্স এশিয়া’কে বলেন, এই চাহিদার বেশিরভাগই হবে এই অঞ্চলের পরিবর্তিত ভোক্তা অভ্যাস, স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যার কারণে। জনগণ স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাবার চায়, অনলাইনে কিনতে চায় এবং টেকসই খাদ্যাভাস চায়।
[৪] মঙ্গলবার প্রকাশিত‘এশিয়া ফুড চ্যালেঞ্জ’ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে এশিয়ার ৪.৫ বিলিয়ন মানুষ (যা বিশ্ব জনসংখ্যার ৬৫ ভাগ) থাকবে মধ্যবিত্তের কাতারে। আগামী দশকের শুরু এই অঞ্চলে খাদ্য ব্যয় ৮ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি হবে যা ২০১৯ সালে ছিলো ৪ ট্রিলিয়ন ডলার।
[৫] এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১২টি দেশের ৩ হাজার ৬’শ জন ভোক্তার ওপর সমীক্ষার পাশাপাশি খাদ্য খাতের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবং ৩ হাজারের বেশি খাদ্য ও পানীয় কোম্পানির বিশ্লেষণের ভিত্তিতে প্রতিবেদনের ফলাফল পাওয়া গেছে।
[৬] গবেষণায় বলা হয়, এই ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ১.৫ ট্রিলিয়নের বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে। এশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম খাদ্য ও পানীয়ের বাজারে পরিণত হবে। ভারত এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ব্যয় বৃদ্ধির পরিমান হবে বার্ষিক ৫.৩ শতাংশ এটি ৪.৭ শতাংশ যৌগিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামগ্রিকভাবে সবচেয়ে বড় বাজার থাকবে চীনে।
আপনার মতামত লিখুন :