✖

লিহান লিমা: [২] মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী গ্রহণ সীমা দ্বিগুণ করতে চায় বাইডেন প্রশাসন। আল জাজিরা

[৩] বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ এবং কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করে শরণার্থী গ্রহণের বর্তমান সীমা উঠিয়ে নেবে পররাষ্ট্রদপ্তর। ২০২০ সালে এই সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিলো ৬২ হাজার ৫০০ যা এই মাসে শেষ হতে যাচ্ছে।

[৪] মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এমন এক সময় এই পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করলেন যখন দেশটিতে হাজার হাজার আফগান শরণার্থী পুনর্বাসনের অপেক্ষায় রয়েছে। যদিও আফগানিস্তান থেকে শরণার্থী ও মার্কিন মিত্রদের সরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় বিশৃঙ্খতার কারণে অনেকেই এখনো দেশটিতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। জানুয়ারিতে মার্কিন প্রেসিডেন্সির দায়িত্ব গ্রহণ করা বাইডেনের পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্প শরণার্থী গ্রহণের সীমা ১৫ হাজারে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাইডেন প্রথমে ট্রাম্পের পরিকল্পনাকে বহাল রাখলেও পরে অভিবাসী সমর্থকদের সমালোচনার মুখে পিছু হঠতে বাধ্য হন।

[৫] অভিবাসন নিয়ে বাইডেনের অবস্থান এখনো মিশ্র অবস্থায়। মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে গত ২০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ শরণার্থীর ঢল নেমেছে। সম্প্রতি দক্ষিণ টেক্সাসের একটি আন্তর্জাতিক সেতুর নিচে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেছে হাজার হাজার হাইতিয়ান অভিবাসীরা।

[৬] শরণার্থী বিষয়টি আশ্রয়প্রত্যাশী থেকে আলাদা। কারণ আন্তর্জাতিক নীতি অনুযায়ী শরণার্থীদের ওই দেশে প্রতিষ্ঠার জন্য আইনী মর্যাদা এবং সম্পদ দেয়া হয়।