আনোয়ার হোসেন: [২] ধানক্ষেতের মাঝেই নির্মাণ করা হয়েছে একটি ব্রিজ। ব্রিজের সাথে সংযুক্ত কোনো রাস্তা নেই। তাই নির্মাণের পর থেকেই ব্যবহার হচ্ছেনা ব্রিজটি। তবে সবুজের মাঝে গড়ে উঠা ব্রিজের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ব্রিজের সঙ্গে অনেকেই শেলফি ও ছবি তুলতে শুরু করে। এতেকরে কেউ কেউ এই ব্রিজকে এখন সেলফি ব্রিজ নামেও চেনে।
[৩] ব্রিজটি ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড় পলাশবাড়ি গড়িয়ালি গ্রামের একটি শস্যখেতে অবস্থিত। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের সেতু ও কালভার্ট নিমার্ণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৬-১৭ সালে ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। এতে প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে।
[৪] সরেজমিনে গড়িয়ালি গ্রামের ওই ব্রিজ এলাকায় দেখা গছে, ওই গ্রামের হিন্দুপাড়া সংলগ্ন খালের ওপর ব্রিজটি দৃশ্যমান থাকলেও দুই পাশে নেই কোনাে সংযোগ সড়ক। ব্রিজের ওপর দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও যাতায়াত করা যাচ্ছে না। ফলে ব্রিজটি কোনো কাজেই আসছে না স্থানীয়দের।
[৫] হিন্দুপাড়া এলাকার সিরাজুল মিয়া বলেন, আমরা খালের ওপরের যে ব্রিজটি নির্মাণ হয়েছে তা অপরিকল্পিত। এখানে এই ব্রিজ কোন দরকারই ছিল না। ব্রিজ হলেও রাস্তা না হওয়ায় এটা আমাদের কোনাে কাজে আসছে না।
[৬] বড় পলাশবাড়ি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, ২০১৬-১৭ সালে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের আওতায় ব্রিজ নির্মাণ হয়। কিন্তু কোনো যানবাহন এই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করে না। ব্রিজটির সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় গ্রহণ দাবি জানাচ্ছি।
[৭] এ ব্যাপারে বালিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, ব্রিজটির সঙ্গে সংযােগ রাস্তা করার প্রয়ােজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
[৮] বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন বলেন, আমার যোগদানের আগেই ব্রিজটি নির্মাণ হয়েছে। ব্রিজ নির্মাণের পর মানুষ চলাচল করে না সেই বিয়ষটি আমার জানা নেই। তবে ব্রিজটি পরির্দশন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি