শিরোনাম
◈ রাখাইনে আরো একটি শহর দখল করেছে আরাকান আর্মি ◈ পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ব‌গি চার ঘণ্টা পর উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক ◈ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ◈ সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার টু শব্দ করার সাহস পাচ্ছে না: বিএনপি ◈ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে সোমালিয় পুলিশ ও বহুজাতিক নৌবাহিনী ◈ জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ডিবিতে অভিযোগ করলেন জবি ছাত্রী ◈ ঈদের পর কাওরান বাজার যাবে গাবতলীতে: মেয়র আতিক ◈ আবদুল্লাহ জাহাজে থাকা কয়লায় দুর্ঘটনার ঝুঁকি নেই: এস আর শিপিং ◈ পাপেট সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত সব নির্বাচন ত্রুটিপূর্ণ বলবে যুক্তরাষ্ট্র: জয়  ◈ চট্টগ্রামের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হতে তিন দিন লাগতে পারে: রেল সচিব

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:৪৭ রাত
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০২:৪৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এক উট পাখিতেই মাংস হবে ১৬০ কেজি, বিএলআরআইয়ের গবেষণা

নিউজ ডেস্ক: এক উটপাখিতেই মাংস হবে ১২০ থেকে ১৬০ কেজি। যা রীতিমতো একটা গরুর সমান। আর এর মাংসও খুব সুস্বাদু। শুধু তাই নয়, জিঙ্ক, আয়রনসমৃদ্ধ এই মাংস শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতেও বড় ভূমিকা রাখবে। ইত্তেফাক

কিন্তু আফ্রিকার দৌড়বাজ এই পাখি বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে পালনে কতটা উপযোগী হবে। কতটা মানিয়ে নিতে পারবে এ দেশের আবহাওয়ার সঙ্গে? সেসব প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) বিজ্ঞানীরা। তিন বছরের এই গবেষণায় এরই মধ্যে এক বছর পার হয়েছে। ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা বলেছেন, দেশে আমিষের চাহিদা পূরণে উটপাখি নতুন সংযোজন হবে বলে আশা করছি। এখন পর্যন্ত দেশের আবহাওয়া উটপাখি পালনের জন্য উপযোগী বলে মনে হচ্ছে। তবে ডিম থেকে বাচ্চা উত্পাদন করা যাবে কি না, তা জানতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।

উল্লেখ্য, দেশে বাণিজ্যিকভাবে উটপাখি পালনের জন্য ২০১৯ সালের ১৮ জুন একটি প্রকল্প হাতে নেয় বিএলআরআই। শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে উটপাখির সাত দিন বয়সের সাতটি বাচ্চা ও পরে আরো ১৫টি বাচ্চা নিয়ে আসা হয়। এটিই দেশে প্রথমবারের মতো উন্নত জাতের উটপাখি নিয়ে গবেষণা। মূলত আফ্রিকার সাহারা মরুভূমির দক্ষিণের তৃণভূমি এদের বিচরণস্থল। তবে গত কয়েক দশক ধরে সেখানে এদের সংখ্যা কমছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, উটপাখি সাত থেকে আট ফুট পর্যন্ত উঁচু হয়। এর ওজন ১২০ থেকে ১৬০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। উটপাখির খাবারের ৬০ শতাংশ লতাপাতা। যা বাংলাদেশে সহজলভ্য। সাধারণত দুই আড়াই বছর থেকে মাদি উটপাখি ডিম দেওয়া শুরু করে। একটা উটপাখি থেকে বছরে ২৫ থেকে ৩০টি বাচ্চা পাওয়া যেতে পারে। আড়াই থেকে তিন বছরেই একটি উটপাখি প্রাপ্তবয়স্ক হয়।

বিশ্বে উটপাখি পালন একটি লাভজনক ব্যবসা। বিশ্ববাজারে এর চামড়া, মাংস, পালক ইত্যাদির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে উটপাখির প্রতি কেজি মাংসের দাম ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা। যা গরু-ছাগলের মাংসের চেয়েও অনেক বেশি। বাংলাদেশে এখনো বাণিজ্যিকভাবে পালন শুরু না হলেও প্রতিবেশী ভারতসহ নেপাল ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে উটপাখি বাণিজ্যিকভাবে পালন করা হচ্ছে।

বাণিজ্যিকভাবে উটপাখি পালন নিয়ে এই গবেষণা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও বিএলআরআইর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. সাজেদুল করিম সরকার গতকাল বলেন, আমাদের দেশে এখনো বাণিজ্যিকভাবে উটপাখি পালন করা হয় না। দেশে আমিষের চাহিদা পূরণে বাণিজ্যিকভাবে পালনে আমরা উটপাখি নিয়ে গবেষণা করছি।

তিনি বলেন, হাঁস, মুরগির মতো উটপাখিও একটি পোলট্রি। প্রচুর গুণাগুণ রয়েছে এর মাংসে। রীতিমতো হেলদি রেডমিট এটা। ফ্যাট নেই। জিঙ্ক, আয়রন অনেক বেশি আছে এই মাংসে। তিনি বলেন, ২০৪১ সালে আমরা উন্নত বিশ্বের মানুষ হব। তাই যে মাংস খাব সেটা নিরাপদ হতে হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের কাছে উটপাখির মাংস কতটা গ্রহণযোগ্য হবে এটা একটা প্রশ্ন। তবে এটা নিয়ে এখনই ভাবছি না। আগে গবেষণা শেষ হোক। এছাড়া ব্রয়লার মুরগিও তো কেউ কেউ খেতে চান না। কিন্তু স্বল্প আয়ের মানুষের মাংসের চাহিদা মেটাচ্ছে এই ব্রয়লার। আবার আমরা বাড়িতে ব্রয়লার না খেলেও রেস্টুরেন্টে গিয়ে ঠিকই বেশি দাম দিয়ে ব্রয়লার খাচ্ছি। তিনি বলেন, বাণিজ্যিকভাবে উটপাখি পালন করা গেলে এটা দেশে রীতিমতো বিপ্লব ঘটাবে। প্রতি কেজি মাংস ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।

এ প্রসঙ্গে বিএলআরআইর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল জলিল গতকাল বলেন, ভিয়েতনামে, ইউরোপের দেশগুলোতে উটপাখির মাংস খুবই জনপ্রিয়। আমরা যেভাবে মুরগি পালন করি, সেভাবে যদি উটপাখি পালন করি, তাহলে উটপাখির পালন অনেক বেড়ে যাবে। গবেষণা শেষে দেশে উটপাখির বাণিজ্যিক খামার গড়ে তোলার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়