শিমুল মাহমুদ: [২] দলের কর্মকৌশল ঠিক করতে এই ধারাবাহিক বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। যা শুরু হবে মঙ্গলবার থেকে, চলবে টানা তিনদিন। শনিবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেয়া এই সিদ্ধান্তের কথা রোববার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
[৩] তিনি বলেন, গত ১৪, ১৫ ও ১৬ তারিখে দলের জাতীয় কার্যানির্বাহী কমিটির ধারাবাহিক সভায় মতবিনিময় হয়েছে। অবশিষ্ট সদস্যদের সঙ্গে আগামী ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে গতকালকের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে।
[৪] কেন্দ্রীয় কমিটির বাইরে মাঠ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় হবে কিনা প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, এই তিনদিনের সভায় তারাও থাকবেন। কারণ জেলার সভাপতি পদাধিকার এক্স অফিসিও হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তারা অবশ্যই আসবেন।
[৫] বিএনপি মহাসচিব বলেন, যখন ধারাবাহিক সভাগুলো শেষ হবে তখন আমরা সময়মতো আমাদের মতামতগুলো আপনারা জানতে পারবেন। আমাদের পরবর্তী কর্মপন্থাও জানতে পারবেন।
[৬] এসব মতবিনিময় সভায় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক বিষয় আলোচনা হয়েছে। পুরো রাজনৈতিক পরিস্থিতি, বর্তমান পরিস্থিতি, এক দলীয় শাসন প্রবর্তন করবার যে একটা প্রচেষ্টা, বিরোধী দলের ওপরে যে নির্যাতন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দেয়া, মিথ্যা মামলা-গায়েবী মামলা ইত্যাদি বিষয় আলোচনা হয়েছে।
[৭] মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ আমাদের বেশির ভাগ কমিটি তাদের পূর্ণগঠনের কাজ শুরু করেছে, কাজ চলছে। অঙ্গসংগঠনগুলোরও কাজ শুরু হয়েছে বেশি কিছুদিন ধরে। থানা পর্যায়ে, মাঠ পর্য়ায়ে হয়ে গেছে, ইউনিয়ন পর্যায়ে হয়েছে। এখন জেলা পর্যায়ের হয়ে যাবে, হতে যাচ্ছে। যেহেতু করোনা মহামারী সেই কারণে সম্মেলনগুলো করা সম্ভব হয়নি। বেশিরভাগ জায়গায় সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে।
[৮] ঠিক একই ভাবে বিএনপিরও যেসব মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি আছে সেসব মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো নতুন করে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তারা ওয়ার্ড পর্য়ায় থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায়ে একেবারে মাঠ পর্যায়ে এবং একেবারে জেলা পর্যায়ে কাজ শুরু করেছে। কয়েকটি জেলায় সম্মেলন অতি দ্রুত শেষ হবে।