শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১০:০৩ দুপুর
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৪:২২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] আফগান নারীরা খুবই বলিষ্ঠ, অধিকার আদায়ে সক্ষম: সিএনএনকে বিশেষ সাক্ষাৎকারে ইমরান খান

আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২]দেশটির জনগণ কখনোই পুতুল সরকারকে সমর্থন করেনি, আন্তর্জাতিক সহায়তা পেলে সঠিক পথে ফিরবে [৩]যুক্তরাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে যে সম্পর্ক রক্ষা করে, পাকিস্তানও সে সম্পর্ক চায়।

[৪] তালিবান ক্ষমতা দখলের পর আফগান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী, এই প্রথম। তিনি বলেন, ‘তালিবান এখন পুরো আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণ করছে। যদি তারা সব পক্ষকে এখন সরকারে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে, দেশটিতে ৪০ বছর পর শান্তি ফেরার আশা করা যায়। কিন্তু ভুল কিছু হলে সেখানে নতুন করে বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। আমরা হয়তো সেখানে বৃহত্তম মানবাধিকার সঙ্কট দেখতে পাবো। দেখতে পাবো, বিশাল এক শরণার্থী সমস্যা।’

[৫] ইমরান দাবি করেন, সমস্যা সমাধানে আফগানিস্তানের আন্তর্জাতিক সহায়তা প্রয়োজন হবে। বহিরাগত শক্তির পক্ষে আফগানিস্তানকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।

[৬] তিনি বলেন, এখানে বসে আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো, সেটা না ভেবে আমাদের উচিৎ তাদের প্রণোদনা দেওয়া। আমাদের তাদের সঠিক পথে রাখতে হবে।’

[৭] ‘আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলেছিলো, তালিবান পুরো আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে না। তারা আফগান সামরিক বাহিনীকে পদানত করার চেষ্টা করলে শুরু হবে গৃহযুদ্ধ। এটা ভীতিকর ছিলো, কারণ এজন্য আমাদেরই সবচেয়ে বেশি ভুগতে হতো।’

[৮] ইমরান খান সোভিয়েত বাহিনীর চলে যাওয়ার উদাহরণ টেনে বলেন, তিনি ভেবেছিলেন মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরেও রক্তের হোলি হবে।

[৯] ‘আমার মনে হয় জো বাইডেন খুব ব্যস্ত থাকায় আমাকে ফোন করেননি। তবে আমাদের সম্পর্ক কোনো ফোন কলের ভিত্তিতে হওয়া উচিৎ নয়। এই সম্পর্ক হতে হবে বহুমাত্রিক।

[১০] ‘আমরা ছিলাম যুক্তরাষ্ট্রের ভাড়া করা বন্দুক। তারা ভেবেছিলো আমরা আফগানিস্তানের যুদ্ধে তাদের জিতিয়ে দেবো। আমাদের পক্ষে তা সম্ভব ছিলো না।’

[১১] পাকিস্তান বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্যকে দাম্ভিক বলেও আখ্যা দেন ইমরান।

[১২] ইমরান পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলারও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানই একমাত্র দেশ, যারা মিত্রদের থেকে হামলার শিকার হয়েছে। তিনি বলেন পাকিস্তান যদি জঙ্গীদের নিরাপদ স্বর্গ হতো, তা ধরা পড়তই। কারণ সীমান্ত এলাকা সমসময়ই মার্কিন ড্রোনের নজরদারিতে ছিলো। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়