রাশিদুল ইসলাম : [২] ইসলামের দোহাই দিয়ে নীতি পুলিশগিরি কায়েম করতে চাচ্ছে তালিবান। খাদ্যভাব থাকলে বা সংকটময় পরিস্থিতিতে চুরি করলে হাত কাটার বিধান শিথিলের কথা বলা হয়েছে ইসলামে। বিশে^র এখন আফগানিস্তান সবচেয়ে আর্থসামাজিক সংকটময় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। দেশটিকে গড়ে তোলার জন্যে ইসলামের সহনশীলতা অনুসরণ গুরুত্বপূর্ণ। মুহম্মদ ইউসুফ নামে এক তালিবান নেতা নিউ ইয়র্ক পোস্টকে জানিয়েছেন, ইসলামি নিয়মরীতি মেনেই অপরাধের শাস্তি হবে এবার থেকে। কেউ খুন করলে তা যদি ইচ্ছাকৃত হয়, তবে তাকেও হত্যা করা হবে, কিন্তু খুনটা ইচ্ছাকৃত না হলে আর্থিক জরিমানা দিয়ে রেহাই পেতে পারে সে।
[৩] ইসলামের সেবা করাই তাদের মূল উদ্দেশ্য। সেজন্যই সৎ গুণাবলীর প্রসার ও অপরাধ দমন মন্ত্রণায়ের প্রয়োজন। আফগানিস্তানের সেন্ট্রাল জোনের ভারপ্রাপ্ত এ নেতা চুরির শাস্তি হবে চোরের দুটো হাত কেটে নেওয়া, যারা ‘অবৈধ যৌন সম্পর্ক’ করবে, তাদের পাথর ছুঁড়ে হত্যা করা হবে। এধরনের শাস্তি বেআইনি যৌন সম্পর্কে জড়ানো নারী, পুরুষ দুজনকেই ভোগ করতে হবে। তবে এমন মামলায় সাজা ঘোষণার জন্য চারজন সাক্ষী লাগবে। তাদের বক্তব্য হুবহু একই রকম হতে হবে। চারজনের ভাষ্যে সামান্য অদলবদল হলে কোনও শাস্তি হবে না। কিন্তু সব সাক্ষীই একই সুরে কথা বললে, ঘটনার সময়কাল সবাই একই বলে জানালে সাজা হবে। সুপ্রিম কোর্ট এসব নিয়ে মাথা ঘামাবে না। ওরা দোষী ঘোষিত হলে আমরা শাস্তি দেব। ইউসুফকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদপত্রটি একথা লিখেছে।
[৪] দুদশক আগের তালিবান শাসনে অপরাধ দমন মন্ত্রণালয়ের বাড়াবাড়ি চরম পৌঁছেছিল, মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হয়। তারাই ফতোয়া দিয়েছিল, কোনও মেয়ে পুরুষ সঙ্গী ছাড়া বাড়ির বাইরে পা দিতে পারবে না। গানবাজনা, অন্য সব ধরনের বিনোদন নিষিদ্ধ করেছিল। আফগানিস্তানের রাস্তায় দিনেদুপুরে তারা ইসলামি রীতিনীতি ভাঙার দায়ে দোষীদের চাবুক মারত, পাথর ছুঁড়ত, হাত-পা কেটে নিত, এমনকী অপরাধের মাত্রা বিচার করে জনসমক্ষে ফাঁসিও দিত।
আপনার মতামত লিখুন :