শিরোনাম
◈ শাহজালালে কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনা নাশকতা নয়: প্রেস সচিব ◈ সব প্রতিষ্ঠানে চালু হবে আন্তঃলেনদেন ব্যবস্থা, দরকার হবে না ক্যাশ-আউট ◈ ট্রাফিক পুলিশের জরিমানার ক্ষমতাসহ শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা জারি ◈ কড়াইল বস্তিতে আগুন: নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ২১ ইউনিট (ভিডিও) ◈ দ‌ক্ষিণ আ‌ফ্রিকার সাম‌নে থরথর করে কাঁপছে ভারতীয় ব্যাটিং, আবার হোয়াইটওয়াশের আশঙ্কা ◈ কোনো দলই সুপার ওভারে  অভ্যস্ত নয়, দেশে ফিরে জানা‌লেন আকবর আ‌লি  ◈ হিজবুল্লাহ অবশ্যই প্রভাবশালী কমান্ডার হত্যার জবাব দেবে এবং সেটা হবে অত্যন্ত বেদনাদায়ক: আরব বিশ্লেষক ◈ বেনাপোল বন্দরে আমদানি–রফতানি ৩৩৪ ট্রাক, পাসপোর্টধারী যাতায়াত ১,৯১৬ ◈ গেজেট প্রকাশ বুধবারের মধ্যে, গণভোটের ব্যালট হবে ভিন্ন রংয়ের: আইন উপদেষ্টা ◈ বিএনপি নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত: রিজভী

প্রকাশিত : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৫:২০ বিকাল
আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৫:২২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ১৩০ টাকা হাজিরার কম্পিউটার অপারেটর থেকে ৪৬০ কোটির মালিক!

মাসুদ আলম : [২] মঙ্গলবার র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ২০০১ সালে টেকনাফ স্থলবন্দরে চুক্তিভিত্তিক দৈনিক ১৩০ টাকা বেতনে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে চাকরি নেন নুরুল ইসলাম। বন্দরে কর্মরত থাকার সময়ে নিজের অবস্থানকে কাজে লাগিয়ে চোরাকারবারি, শুল্ক ফাঁকি, অবৈধ পণ্য খালাস, দালালির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।

[৩] তিনি আরও বলেন, সোমবার গভীর রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে নুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তার কাছ থেকে ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৫০০ জাল টাকা, ৩ লাখ ৮০ হাজার মিয়ানমারের মুদ্রা, ৪ হাজার ৪০০ ইয়াবা ও নগদ ২ লাখ ১ হাজার ১৬০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

[৪] মঈন বলেন, নুরুল ২০০৯ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে আস্থাভাজন একজনকে একই পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে। দালালিসহ অবৈধ পন্থায় অর্জিত অর্থের মাধ্যমে এরই মধ্যে ঢাকায় তার ৬টি বাড়ি ও ১৩টি প্লট রয়েছে। এছাড়া তার সাভার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন, ভোলাসহ বিভিন্ন জায়গায় নামে-বেনামে সর্বমোট ৩৭টি প্লট, বাগানবাড়ি ও বাড়ি রয়েছে। অবৈধভাবে তার অর্জিত সম্পদের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪৬০ কোটি টাকা।

[৫] তিনি আরও বলেন, তার সিন্ডিকেটের ১০-১৫ জন সদস্য রয়েছে। এই সিন্ডিকেটটি পণ্য খালাস, পরিবহন সিরিয়াল নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি অবৈধ মালামাল খালাসে সক্রিয় ছিল। এছাড়া, কাঠ, শুঁটকি, আচার, মাছের আড়ালে ইয়াবাসহ অবৈধ পণ্য নিয়ে আসতো। চক্রটি টেকনাফ বন্দর, ট্রাক স্ট্যান্ড, বন্দর লেবার ও জাহাজের আগমন-বহির্গমন নিয়ন্ত্রণ করতো। অবৈধ আয়ের উৎসকে ধামাচাপা দিতে সে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন। এর মধ্যে এমএস আল নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এমএস মিফতাউল এন্টারপ্রাইজ, এমএস আলকা এন্টারপ্রাইজ, আলকা রিয়েল স্টেট লিমিটেড এবং এমএস কানিজ এন্টারপ্রাইজ অন্যতম। তার নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যাংকে মোট ১৯টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সাভারে একটি পার্ক ও বন্দরে জাহাজ কেনার পরিকল্পনাও করেছিলেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়