মঞ্জুরে খোদা টরিক: কেন বলছি এমন কথা? এবার কানাডার জাতীয় নির্বাচনে বিভিন্ন দল থেকে ৮ জন বাংলাদেশি-কানাডিয়ান এমপি প্রার্থী হয়েছেন। কানাডার মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশীদের প্রবেশ ঘটছে এবং এর সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। এটা আমাদের জন্য আনন্দের। কিন্তু হলে হবে কি? অন্টারিও’র অশোয়া থেকে বাংলাদেশি-কানাডিয়ান আফরোজা হোসেন ক্ষমতাসীন লিবারাল থেকে নির্বাচন করছেন। একদিন তার সঙ্গে আমার- তার নির্বাচনী অবস্থা নিয়ে কথাও হয়েছে। কিন্তু তিনি কানাডার একটি মূলধারার পত্রিকায় নেতিবাচক সংবাদ শিরোনাম হবেন- সেটা আশা করিনি। সাংবাদিক শওগাত আলী সাগর ফেসবুকে নিয়মিত লাইভ অনুষ্ঠান করেন। তিনি মিসেস হোসেনকে তার এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেখানে এসে তিনি বাংলাদেশি কমিউনিটির জন্য তার বক্তব্য-পরিকল্পনা বলতে পারতেন। তিনি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের শর্ত দিয়েছিলেন যে, তাহলে তার নির্বাচনী তহবিলে তিনশো ডলার ডনেশন দিতে হবে। মি: সাগর এ অর্থ দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনিও তার লাইভে আসেননি। বিষয়টি নিয়ে কমিউনিটিতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। বিষয়টা এখানেই আটকে থাকলে হতো। কিন্তু এ সংবাদ কানাডার মূলধারার পত্রিকা- টরন্টো স্টার সাগরের উদ্ধৃতিসহ নেতিবাচক ও সমালোচনামূলক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। যে রিপোর্টটি কমিউনিটির জন্য প্রচন্ড অস্বস্তিকর ও বিব্রতকর। এ ঘটনার জন্য যদিও আফরোজা হোসেন ক্ষমা চেয়েছেন। কিন্তু ইতোমধ্যে এ ঘটনায় যে ক্ষতি হওয়ার তা হয়েই গেছে। সে জন্যই বলছি, বাঙালি যতোটা না আগায়, কোনো এক ঘটনায়- তার চেয়ে অনেক বেশি পিছিয়ে যায়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :