মাসুদ আলম: [২] শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর সড়কের ১৫ নম্বর বাড়ির হোস্টেলের অষ্টম তলা থেকে আবীর হোসেন খানের (১৩) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আবীর ওই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিলো।
[৩] আবীরদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায়। বাবা মো. ফজলুর রহমান ও মা আবিদা সুলাতানা। পরিবারটি বর্তমানে নবাবগঞ্জে বসবাস করে।
[৪] আবীরের খালা রাবেয়া সুলতানা খান গণমাধ্যমকে বলেন, স্কুল কলেজ খোলায় শনিবার দুপুরে ছেলেকে হোস্টেলে রেখে যান ফজলুর রহমান। তিনি নবাবগঞ্জের বাসায় ফিরে যাওয়ার আগেই কলেজ থেকে তাকে ফোন দেওয়া হয়। বাসে থাকায় তিনি কল টের পাননি। পরে তিনি রিংব্যাক করলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, আবীর অসুস্থ। তাকে আসতে হবে।
[৫] রাবেয়া জানান, তার বাসা কলেজের পাশে হওয়ায় আবীরের মা তাকে হোস্টেলে গিয়ে খবর নিতে বলেন। তিনি গিয়ে দেখেন, কলেজের দুজন পরিচালক নিচে কথা বলছেন। প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, আবীর গলায় গামছা পেঁচিয়েছিল। তাকে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
[৬] আবীরের খালা বলেন, হাসপাতালে গিয়ে দেখি, জরুরি বিভাগের সামনেই আবিরের মরদেহ সাদা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন-হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে আবীরের বাবা হাসপাতালে এসে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে থানা থেকেপুলিশ হাসপাতালে এসে ছাত্রটির মরদেহ উদ্ধার করে।
[৭] উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক লাল মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, আবীর হোস্টেলের জানালার সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার বাবা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করেছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
[৮] আবিরের খালার দাবি, এটি কোনোভাবেই আত্মহত্যা হতে পারে না। কারণ আবীরের মরদেহ হোস্টেলের বিছানার ওপরে ছিল। উদ্ধারের সময় আবিরের দুই পা বিছানার ওপর হাঁটুগাড়া অবস্থায় ছিল। এভাবে কেউ আত্মহত্যা করতে পারে না।