জাফর ওয়াজেদ, ফেসবুক থেকে, ১৯৭২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী এক সাক্ষাৎকারে জেনারেল ওসমানী বলছিলেন, নিজেদের উপর আক্রমণ না হলে অধিকাংশ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট অফিসার বিদ্রোহ করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতেন না। যশোরে মেজর হাফিজকে ঘেরাও করেছিল বলে তিনি যুদ্ধে অংশ নেন। কুষ্টিয়াতে আবু ওসমান চৌধুরীকেও জনতা ঘেরাও করেছিলেন বলে তিনি যুদ্ধে অংশ নেন। পাবনায় জনতার টেটা খাবরের চাপে ঐক্যবদ্ধ হয় সেখানকার বাঙালী পুলিশ ইপিআর ও কিছু সৈন্য। ধ্বংস করে পাকিদের। চিটাগাং ক্রেক ডাউন হওয়ার পরও সোয়াত জাহাজ থেকে অস্ত্র নমানোর দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছিল মেজর জিয়া। যখন তাকে ফিরতে হলো জনতার বাধায় এবং কেন্টনমেন্টে ফিরে বুঝলেন নিহত হতে পারেন তখন ছুটলেন বিদ্রোহ করতে। এরকম অনেক ঘটনা। তারা অনেকে ভয়ে ছিল যদি সেনাবাহিনীর নিয়ম ভাঙ্গার জন্য দায়ী হন তবে তো মৃত্যুদন্ড বা জেল। কেবল খালেদ মোশাররফ , ইপিআর মেজর রফিক এরা ছিল আলাদা। জয়দেবপুরেও জনতার চাপে ও অংশ গ্রহণে আগেই বিদ্রোহ দেখা দেয়। ব্রিগেডিয়ার মজুমদার পুরো সময়টা ঢাকা কেন্টনমেন্টে ছিলেন। পালানোর সুযোগ পাননি?
সুতরাং আসল যোদ্ধা এদেশের ছাত্র, শ্রমিক, কৃষক জনতা, যারা চাকরীর বাঁধনে ছিল না, মুক্তির নেশায় ছিল উতলা। বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চ মেশিনগান সজ্জিত কেন্টনমেন্ট আক্রমণ করতে বললে তাও করতো সেই জনতা। এত বিশাল ইতিহাসকে সামরিক অফিসাররা দেখছে চোখে চুঙ্গা দিয়ে।
————সরদার আমিন৷৷
আপনার মতামত লিখুন :