মাজহারুল ইসলাম : [২] তার আগে ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা (২৯ অক্টোবর) নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ৪১তম ও ৪৩তম বিসিএস শেষ করতে চায় সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ৪২তম (বিশেষ) বিসিএসের ফল প্রকাশের পরপরই ৪১ ও ৪৩তম বিসিএস নিয়ে কাজ শুরু করা হবে।

[৩] পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) নূর আহ্ম্মদ জানান, এখন পর্যন্ত নভেম্বর মাসকে টার্গেট করেই প্রস্তুতি চলছে। আশা করি করোনা পরিস্থিতি এর আগেই আরও স্বাভাবিক হয়ে আসবে। আর সবকিছু ঠিক থাকলে নভেম্বরে ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করা হতে পারে। সুনির্দিষ্ট তারিখ আগামী কিছুদিনের মধ্যেই জানানো হবে।

[৪] পিএসসি সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের সর্বশেষ (১ আগস্ট) বিশেষ সভায় আগামী নভেম্বর মাসে ৪১তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আয়োজনের বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল। ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ৪১তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১৯ মার্চ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনেই প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত ১ আগস্ট প্রিলিমিনারির ফল প্রকাশ করে পিএসসি। লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হন ২১ হাজার ৫৬ জন।

[৫] ৪১তম বিসিএসের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাডারে ২ হাজার ১৩৫ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। এই ক্যাডারে ৯১৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এছাড়া পুলিশে ১০০ জন, সহকারী সার্জনে ১১০ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ৩০, পররাষ্ট্রে ২৫ জন, আনসারে ২৩ জন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে সহকারী মহাহিসাবরক্ষক (নিরীক্ষা ও হিসাব) ২৫ জন, সহকারী কর কমিশনার (কর) ৬০ জন, সহকারী কমিশনার (শুল্ক ও আবগারি) ২৩ জন ও সহকারী নিবন্ধক হিসেবে ৮ জন নেওয়া হবে। এছাড়া পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ১২ জন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে সহকারী যন্ত্র প্রকৌশলী ৪ জন, সহকারী ট্রাফিক সুপারিনটেনডেন্ট ১ জন, সহকারী সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক ১ জন, সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) ২০ জন, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) হিসেবে ৩ জনকে নেওয়া হবে। তথ্য মন্ত্রণালয়ে সহকারী পরিচালক বা তথ্য কর্মকর্তা বা গবেষণা কর্মকর্তা ২২ জন, সহকারী পরিচালক (অনুষ্ঠান) ১১ জন, সহকারী বার্তা নিয়ন্ত্রক ৫ জন, সহকারী বেতার প্রকৌশলী ৯ জন, স্থানীয় সরকার বিভাগে বিসিএস জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে সহকারী প্রকৌশলী ৩৬ জন, সহকারী বন সংরক্ষক ২০ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।