দেব দুলাল মুন্না, ফেসবুক থেকে, পাওলো কোয়েলহোর উপন্যাস ইলাভেন মিনিট। মারিয়া নামের যৌনকর্মী এক জায়গায় ভাবছে বা বলা যায় ডায়েরিতে লেখছে : আমি আবিষ্কার করেছি কী কারণে একজন পুরুষ একজন মহিলাকে টাকা দেয়। সে সুখী হতে চায়। শুধুমাত্র অর্গ্যাজম পাওয়ার জন্য সে এক হাজার ফ্রাংক দেয় না। সে সুখী হতে চায়। আমিও চাই। সবাই চায়। অথচ কেউ সুখী নয়। আমার কী হারাবার আছে, যদি কিছুক্ষণের জন্য আমি ঠিক করি আমি হব একজন ‘…’
এরপর আসুন দেখি তার রেগুলার কাস্টমার বা প্রেমিক র্যালফের সঙ্গে তার কিছু আলাপ:
মারিয়া:একজন বেশ্যার প্রেমে পড়লে কী করে?
র্যালফ : আমার মনে হয় এর কারণ, তোমার শরীর কোনোদিন আমার একার হবে না জেনে আমি মন দিয়েছি তোমার আত্মাকে জয় করাতে।
মারিয়া: তোমার ঈর্ষা হয় না? আমার কাছে তো অন্যরাও আসে?
র্যালফ : না।তুমি বসন্তকে বলতে পারো না, এখানে এসো আর যতদিন সম্ভব থাকো।
মারিয়া: মানে ?
র্যালফ: মানে হলো ১১ মিনিটই অসীম। তুমি তো স্থায়ী কারো না। তাই তোমাকে পাওয়ার ব্যাকুলতা। হয়তো অস্থায়ীকেই মানুষ নিজের অজান্তে বেশি ভালবাসে। ঠিক জানি না। এটাও উত্তর হতে পারে।
মারিয়া: প্রেম কি তবে কন্ডিশনাল না ?
র্যালফ: না। কারণ ,প্রেম হওয়ার একটা মিনিমাম কন্ডিশন গ্রাউন্ড থাকেই সব প্রেমের শুরুতেই। কিন্তু প্রেম হয়ে যাওয়ার পর কন্ডিশন পসেসিভনেস তৈয়ার করে। যেটা প্রেমের সমাপ্তি ঘটায়। প্রেম এরপর আনকন্ডিশনাল। ১১ মিনিট ১১ কোটি দিন যেন। যাহা নাই তাহা দেওয়াকেই শুধু প্রেম বলে ।
আপনার মতামত লিখুন :