হাসান মোরশেদ: আমেরিকায় দুই ডোজ ভ্যাক্সিন দেওয়া হয়েছে সব বয়সের মোট জনসংখ্যার ৫৩%। এর মধ্যে ১২+ বয়সের হচ্ছে ৬২%, ১৮+ ৬৪%, ৬৫+ ৮২%। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত দুই ডোজ ভ্যাক্সিন নিশ্চিত হয়েছে ৭% এর মতো। ১২+ বয়সের ০%, ১৮+ অতি সামান্য। ২৬ আগস্টের অফিসিয়াল রিপোর্ট বলছে, স্কুল খুলে দেওয়ার পর আমেরিকায় নতুন করে বাচ্চাদের কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ২০৪,০০০ যা মোট নতুন আক্রান্তের ২২.৪%। এই বাচ্চাদের অধিকাংশই বারো বছরের নীচে।
মোট জনসংখ্যার ৭% কে ভ্যাক্সিন দিয়ে, ১২+ বছরের বাচ্চাদের কোন ভ্যাক্সিন না দিয়ে স্কুল খুলে দেওয়ার মতো সাহসী জাতি আমরা। কিছু লোকজন অনেকদিন ধরেই এই বিপ্লব করে আসছিলো, সরকার সেই বিপ্লবের ভয়ে স্কুল খুলে দিচ্ছেন। আল্লাহ না করুক আমেরিকার অবস্থা যদি হয়, হাসপাতালে বাচ্চাদের জায়গা দেওয়া যাবে তো? বাচ্চাদের পড়ালেখা নিয়ে অতি উদ্বিগ্ন অভিভাবকগণ সামলাতে পারবেন তো নিজের বাচ্চার জন্য আইসিইউ না পাবার করুণ দৃশ্য? বিপ্লব মারানো বদমাশগুলো তখন কোন দায়িত্ব নেবে?
বাংলাদেশি কিছু চমৎকার যুক্তি আছে। যেহেতু অন্য সবকিছু ঠিকঠাক চলছে, বাচ্চাদের নিয়ে মা-বাবা বেড়াতে পর্যন্ত যাচ্ছেন সেহেতু স্কুল বন্ধ থাকবে কেন? মানে হলো- অন্য সব স্টুপিডিটি চলছে যখন, স্টুপিডিটির সকল দরজা খোলে দেওয়া হবে না কেন? নিরাপত্তার একটা দূর্গও যদি অটুট থাকে সেটিও গুঁড়িয়ে দাও। লেখক ও গবেষক
আপনার মতামত লিখুন :