ফিরোজ আহমেদ : ৭০০ একর বিরল বনভূমি প্রকৃষ্ট রূপে শাসকদের জন্য বরাদ্দ করা প্রসঙ্গে মনে পড়লো একদিনের কথা। প্রয়াত এবং অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় একজন প্রকৃতিবিদের সঙ্গে তার বাসায় আড্ডায় বাংলাদেশের পরিবেশ নিয়ে কথা হচ্ছিলো। কথায় কথায় ‘চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার নিয়ে বললেন, দেশের প্রকৃতির দশা দিন দিন বারোটা বাজছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী কেন চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কার পাচ্ছেন, এ নিয়ে তিনি অনেক ভেবেছেন। একটাই সম্ভাবনা তার মাথায় এসেছে, সেটা হলো খুবই সম্ভব যে, বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষায় যে অনেক আইন-কানুন প্রণয়ন করা হয়েছে, সেগুলোর জন্য তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
কারণ তাঁর মতে, জার্মানির পরিবেশ রক্ষার আইনও বাংলাদেশের মতো এতো অগ্রসর না। কথা তাঁর থামছিলো না, বলে চললেন, তারপর আমি ভাবতে থাকলাম, কেন জার্মানরা পরিবেশ নিয়ে এতো সচেতন হওয়ার পরও তাদের পরিবেশ নিয়ে আইনকানুন আমাদের চেয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে পিছায়ে আছে। তারপর ই-উ-রেকা! বিষয় তো খুব সোজা। ওদের দেশে আইন বানালে মানতে হয়। আমাদের দেশে আইন থাকে খাতায়। কাজ হয় কর্তার ইচ্ছায়। এইটাই ব্যাখ্যা বাংলাদেশে তারা এতো নির্দ্বিধায় নানান বিষয়ে এতো এতো সুন্দর সুন্দর আইন বানায়। মানুষের তো সেইটা বাস্তবায়ন করার অধিকার নেই। গণতন্ত্র যে নেই! ফেসবুক থেকে