শিরোনাম
◈ রিটার্ন না দেওয়া টিআইএনধারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের নির্দেশ ◈ সকালে উঠেই এক লিটার পানি পান: কতটা উপকারী? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? ◈ তারেক-জুবাইদার দুর্নীতির মামলায় ‘ত্রুটিপূর্ণ বিচার’, পূর্ণাঙ্গ রায়ে খালাস হাইকোর্টে ◈ বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই তরুণীকে নিয়ে যা বললেন আহমাদুল্লাহ (ভিডিও) ◈ জুলাই স্মরণে ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ফের প্রকম্পিত ঢাবি (ভিডিও) ◈ পর্যাপ্ত অর্থ ও হোটেল বুকিং না থাকায় কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ৯৬ বাংলাদেশি আটক ◈ বাড়ির নিচতলায় গ্যারেজে বসে চোখের পানি ফেলছেন, ছেলের বিরুদ্ধে মাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ ◈ ইংল‌্যা‌ন্ডের লর্ডসে ডুবলো ভার‌তের রণতরী, সিরিজে এ‌গি‌য়ে গে‌লো ইং‌রেজরা ◈ কানাডার টরন্টো শহরে ইসকনের রথযাত্রায় ডিম নিক্ষেপ, ঘটনায় ভারতের গভীর উদ্বেগ (ভিডিও) ◈ একটি দল লম্বা লম্বা কথা বলা ছাড়া সুকৌশলে চাঁদা ও হাদিয়া নেওয়া ছাড়া কোনো কাজ করে না: মির্জা আব্বাস

প্রকাশিত : ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৫:২২ বিকাল
আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ০৫:২২ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মুসলিম বিদ্বেষী সন্নাসী উইরাথুকে মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী

রাকিবুল আবির: [২] মিয়ানমারের বৌদ্ধ সন্নাসী উইরাথুর বিরুদ্ধে মুসলিম বিদ্বেষী ও বিরোধিতার অভিযোগ তুলেছিলো ক্ষমতাচ্যূত অং সান সু চির সরকার। তার এই অভিযোগের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো তাকে। তবে মুসলিম বিরোধী এই সন্ন্যাসীকে সম্প্রতি মুক্তি দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। আলজাজিরা

[৩] সোমবার এক সামরিক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সন্ন্যাসী উইরাথুকে এক ধর্মীয় সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিলো, যা গোটা মিয়ানমারকে আঘাত করেছে। তার বিরুদ্ধে থাকা সকল অভিযোগ তুলে নেওয়া হয়েছে এবং তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আরো জানানো হয়, সন্ন্যাসী উইরাথু এখন একটি সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

[৪] মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় শহর মান্ডালয় থেকে আসা সন্ন্যাসী উইরাথু ২০০১ সালে প্রথম মুসলিম বিরোধী দলের সঙ্গে যুক্ত হন। ২০০৩ সালে এই অপরাধের দায়ে প্রথম জেলে যান তিনি। মুক্তি পান ২০১০ সালে। মুক্তি পাওয়ার পর দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে বৌদ্ধ জনগোষ্ঠী এবং সংখ্যালঘু মুসলিমদের মধ্যে দাঙ্গা বাজিয়ে দেওয়ার ঘটনায়ও ভূমিকা রাখেন তিনি।

[৫] তিনি একটি জাতীয়তাবাদী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সর্বদা সহিংসতা সৃষ্টি করেছে। এমনকি আন্তঃধর্মীয় বিবাহকে কঠোর করতেও সফল হয়েছিলেন তিনি।

[৬] এধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য ২০১৭ সালে মিয়ানমারের বৌদ্ধ কর্তৃপক্ষ তাকে এক বছরের জন্য ধর্ম প্রচারে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে। ২০১৮ সালে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।

[৭] পরবর্তিতে অং সান সু চির সরকার ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে করা মামলার ভিত্তিতে তাকে গত বছর গ্রেপ্তার করেছিলো। তবে সরকারের ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর সম্প্রতি তাকে আবারো মুক্তি দিয়েছে দেশটির জান্তা সরকার। সম্পাদনা : রাশিদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়