ডেস্ক নিউজ: হার্ট অ্যাটাক এক নীরব ঘাতক। যে কেউ যেকোনো সময় এর শিকার হতে পারেন। শরীরচর্চা না করা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যগ্রহণ ও জীবনযাপনে অনিয়ম হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়। এর লক্ষণগুলো জানা থাকলে একটি জীবন হয়তো বাঁচিয়ে দেওয়া সম্ভব। বিশ্বে মানুষের মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণগুলোর একটি হার্ট অ্যাটাক। বলা হয় বিশ্বে এক তৃতীয়াংশ মৃত্যুর জন্যে দায়ী হার্ট অ্যাটাক বা হৃদরোগ।
হার্ট অ্যাটাক কী?
হার্টের উপরিভাগে লেপ্টে থাকে করোনারি আর্টারি বা ধমনী, যার মাধ্যমে হার্ট পুষ্টি এবং অক্সিজেন পায়। যখন করোনারি ধমনীতে চর্বি জমে এবং রক্ত জমাট বেঁধে (শতকরা ১০০ ভাগ) রক্তনালীর রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় তখন উক্ত রক্তনালীর মাধ্যমে হার্টের যে অংশটুকু পুষ্টি এবং অক্সিজেন পেত সেই মাংসপেশিটুকুতে নানা রকম পরিবর্তন সাধিত হয়, যাকে আমরা হার্টঅ্যাটাক বলি। মেডিকেল পরিভাষায় বলা হয় ‘মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন’।
হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের বিকল্প নেই। আসুন জেনে নিই হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি কমানো কিছু টিপস সম্পর্কে—
১. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা
হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সিডিসি বলছে, আপনার রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
২. রক্তচাপ : উচ্চ রক্তচাপ আপনার হার্টের কাজের চাপ বাড়িয়ে দেয়। ফলে হৃৎপিণ্ডের পেশি ঘন ও শক্ত হয়ে যায়। তাই আপনার উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন। এ ছাড়া এমন সব খাবার এড়িয়ে চলুন যেগুলো রক্তচাপকে বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন : ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে অনেকটাই হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যেতে পারে। তাই হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে হলে নিজের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পদক্ষেপ নিন এবং এমন সব খাবার পরিহার করুন যেগুলো আপনার ওজন বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করে।
৪. ধূমপান ও অ্যালকোহলকে ‘না’ : ধূমপান ও অ্যালকোহল হার্টঅ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে অনেক বেশি। এমনকি সিগারেটের প্যাকেটের ওপরেও লেখা হয়ে থাকে যে এটি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এগুলো উচ্চ রক্তচাপ, হার্ট ফেইলিওর এবং স্ট্রোকসহ মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে থাকে। তাই এগুলোর অভ্যাস থাকলে পরিহারে পদক্ষেপ নিন এখনই। তথ্যসূত্র: ইটদিস ডটকম
আপনার মতামত লিখুন :