সুমন্ত আসলাম: ‘আপনি কেমন আছেন’? বাঁ পাশ ঘুরেই আপনি শুনতে পেলেনÑকার কবরে যেন লাশ নেই! চমকের প্রহর কাটতেই জানতে পারলেনÑপদ্মা সেতুতে ধাক্কা দিয়েছে আরও একটি নৌযান। ওটার রেশ রেখেই এটাও জেনে গেলেনÑপাগল বেশে কিছু মানুষ ঘোরাফেরা করছে ওই সেতুর পাশেই। তারপর পরীমনি, তার কামব্যাক, তার চেয়েও তার হাতের মেহেদী আঁকা লেখা। আপনি দেখছেন, মগ্ন হচ্ছেন, জড়িয়ে যাচ্ছেন এতোসব ‘সাজানো’ আয়োজনে। অথচ আপনি নিজেই জানেন নাÑআপনি কেমন আছেন? কেউ আদর-অনাদরে বলেনিÑ কেমন যাচ্ছে তোমার দিনকাল?
[২] মিরপুর ১২ নম্বরের ক্যান্টনমেন্টের রাস্তায় প্রায়ই একটা মানসিক রোগে আক্রান্ত মানুষকে বসে থাকতে দেখা যায়। কয় মাস পরপর পরিবর্তন হয় মানুষটা, নতুন একজন বসেন ওখানে। একদিন একজনকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘এখানে বসে আছেন কেন’? কয়েকবারের পর বলেছিলেন, ‘মানুষ দেখি’। ‘মানুষ দেখে কী হয়’? বিরক্ত হয়ে উত্তর দিয়েছিলেন, ‘মানুষ দেইখ্যা বাঁইচ্যা থাকি’।
[৩] চোদ্দ বছর পর ভর্তি হয়েছিলাম হাসপাতালে। এখন ভালো আছি। যারা বিভিন্ন ভাবে খোঁজ নিয়েছেন, তাদের প্রতি ভালোবাসা, কৃতজ্ঞতা। প্রথম রাতেই অপারেশনের এক পেশেন্ট এলেন, পাশের বেডে। মূত্রনালীতে পাইপ লাগানো হয়েছে তার। সাতাশ আটাশ বছর বয়স। মাঝরাতের দিকে চিৎকার করে উঠলেন তিনি, ‘আল্লাহ বাঁচাও’। বাকি রাত আর ঘুম হয়নি আমার। [৪] আমরা সবাই বেঁচে থাকতে চাই, যে যেভাবে পারি বেঁচে থাকি। অন্যের বেঁচে থাকার ‘কায়দা’ দেখে কিছু মন্তব্য না করে কেবল এটা বলিÑমানুষটা বেঁচে থাকুক, থাকি আমিও। ফেসবুক থেকে