সৈকত শতদল: [২] রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার একটি গ্রামের নাম বসাকুস্টিয়া। এই গ্রামটি রাজবাড়ি জেলা ও ঢাকা বিভাগের শেষ সীমানা, এই গ্রামের থেকেই শুরু কুষ্টিয়া জেলা এবং খুলনা বিভাগের। গ্রামটি জেলার শেষ সীমান্তে হওয়ায় গ্রামের মানুষ অনেক আগে থেকেই অবহেলার স্বীকার হয়ে আসছে।
[৩] যে রাজনৈতিক দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাদের প্রতিনিধিরা শুধু ভোটের সময়ই এই গ্রামে আসে। নির্বাচন শেষ হয়ে গেলে সারা বছরেও তাদের আর দেখা মিলে না। নির্বাচন শেষে জনপ্রতিনিধিদের জীবন মান উন্নয়ন হলেও উন্নতি হয় না গ্রামের মানুষের জীবনমানের।
[৪] গ্রামটির মানুষের জীবন যাত্রার উন্নয়ন আটকে আছে শুধুমাত্র একটা পাকা রাস্তার উপর। যার অভাবে গ্রামের মানুষ তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহ যাবতীয় কিছু বাজারজাত করতে শহরে নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। গ্রামের স্কুলগামী ছেলে-মেয়েরা বর্ষাকালে স্কুলে যেতে দুর্ভোগের শেষ নেই। ছোট ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়ী পণ্য থানা শহরে বিক্রি করতে এবং সেখান থেকে ক্রয়কৃত পণ্য আনতে পোহাচ্ছে অভাবনীয় দুর্ভোগ। আর এই দুর্ভোগ যেন মহামারি আকারে দেখা দেয় বর্ষাকালে। কারণ বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতে গ্রামের রাস্তা গুলো হাটু সমান কাঁদাপানিতে ডুবে যায়।
[৫] বসাকুস্টিয়া জামে মসজিদের ইমাম সাহেব বলেন, এই কাদাপানির জন্য গ্রামের মানুষ ঠিক মতো নামাযে আসতে পারে না। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা এবং বৃদ্ধরা নামাজে আসতে পারে না, তাদের জন্য এই কাঁদা মাটির রাস্তায় চলাচল মুশকিল। যদি সরকারের লোকজন একটা পাকা রাস্তা করে দিতো। তাহলে গ্রামের মানুষের খুব উপকার হতো।
[৬] এই ওয়ার্ডের মেম্বার আইনুদ্দিন জানান, আমিও তো চাই গ্রামে একটা পাকা রাস্থা হোক কিন্তু সেটা তো ব্যক্তিগতভাবে করা সম্ভব না। আমি চেষ্টা করছি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে কিছু করা যায় কিনা।
[৭] এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দিলসাদ বেগম বলেন, আমি এখনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে গ্রামটিতে কিভাবে একটা পাকা রাস্তার ব্যবস্থা করা যায় দেখছি। আমি চাই না আমার অধীনে থাকা কোনো গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে থাকুক। আমি এই বিষয়ে যতো দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নিবো। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :