মো.রাসেল হোসেন: [২] ছবির জলাবদ্ধতা দেখে মনেই হতে পারে এটা কোন ডোবা নয়ত পুকুর।কিন্তু না এটা একটি কার্পেটিং রাস্তা। বছরের ছয় মাস পনির নিচে থাকে এই রাস্তা। কালামপুর বালিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের বাস্তা তিন রাস্তার মোড় হতে নয়ারচড় পর্যন্ত এলজিইডির কার্পেটিং রাস্তা।
[৩] এই রাস্তাটি বালিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত।এই রাস্তাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করেন।এই রাস্তার সাথেই রয়েছে বাস্তা সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ।এই রাস্তা দিয়ে স্কুল কলেজে ছাত্র ছাত্রীরা চলাচল করেন। স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীর ছাড়াও বিপাকে পরেছেন কয়েক হাজার মানুষ।
[৪] সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাস্তা তিন রাস্তার মোড় হতে নয়ারচড় যাওয়ার পথে মাঝ রাস্তার আধা কিলোমিটার রাস্তা পানির নিচে। জুতা পরে সেই রাস্তা দিয়ে যাওয়া যায় না যেতে হয় জুতা হাতে নিয়ে। শুধু জলাবদ্ধতায় নয় তার সাথে যুক্ত রয়েছে খানা খন্দ। কোন প্রকার রিক্সা, ভ্যান চলাচল করতে পারে না। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার এক মাত্র ভরসা খালি পা।রাস্তার উপর খেলা করতে দেখা যায় হাঁসদের।
[৫] কথা হয় বয়জেষ্ট্য মো কিয়ামুদ্দিন নামে এক ষাট উর্ধ বৃদ্ধার সাথে তিনি বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানের কাছে জানিয়েভি তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আহমদ হোসেন টানা দুই বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
[৬] স্থানীয় গিয়াস উদ্দিন জানান, আসাদের এই রাস্তা শুধু জলাবদ্ধতার সমস্যা না এর সাথে আছে খানা খন্দ। কোন লোক যদি অসুস্থ হয় তাদের হাসপাতালে নিতে সময় বেশি লাগে। কারণ এই জলাবদ্ধতা ও খানাখন্দের কারণে কোন গাড়ি, ভ্যান, রিক্সা কোন টায় চলে না। বছরের ছয় মাসই পানির নিচে থাকে এই রাস্তা।
[৭] এ ব্যাপারে বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আহমদ হোসেন বলেন, আসলে এই জলাবদ্ধতা সমস্যা সমাধান কঠিন। আগে এই রাস্তার পানি নিষ্কাশনের জন্য ৩-৪ টি পাইপ কালভাট ছিল সেই কালভাটের উপর এর উপর বাড়ি করেছেন। তার পরও আমি পানি নিষ্কাশনের জন্য চেষ্টা করছি। ইতি মধ্যে আমি উপজেলার প্রকৌশলীকে জানিয়েছি তারা রাস্তা পরিদর্শন করেছেন এবং রাস্তা মেপে নিয়ে গেছে। আমরা আশা করছি দ্রুত এ সমস্যা সমাধান হবে।
[৮] এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো.আজিজুল হক জানান, আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। রাস্তায় জলাবদ্ধতা আছে। রাস্তা কতটুকু জলাবদ্ধতা তা মেপে আনা হয়েছে বরাদ্দ আসলেই কাজ শুরু করা হবে। সম্পাদনা: সঞ্চয় বিশ্বাস