মাজহারুল ইসলাম : [২] পাহাড়ি এলাকায় প্রবল বৃষ্টি মানেই অল্প-বিস্তর কিংবা বড়সড় ভূমিধস। এমন ঘটনা পরিচিত পৃথিবীর বিভিন্ন পার্বত্য অঞ্চলে। কিন্তু তাই বলে প্রতিবেশী লাল গ্রহেও ভূমিধস, মাটিতে ফাটল। সম্প্রতি ইউরোপীয় অরবিটারের পাঠানো ছবি দেখে অবাক বিজ্ঞানীরা। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মঙ্গলের বুকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার চওড়া ক্রেটারজুড়ে ধসের চিহ্ন। মাটির ওপর অন্তত ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফাটল, যা দেখে বিজ্ঞানীদের অনুমান, সৌরজগতের প্রতিটি গ্রহে হয়তো প্রাকৃতিক দুর্যোগের চিহ্ন প্রায় একই ধরনের। কালেরকণ্ঠ, সংবাদপ্রতিদিন
[৩] মঙ্গল গ্রহ ভালোভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য অভিযানের প্রস্তুতি হিসেবে অরবিটার পাঠিয়েছিল ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি (ঊঝঅ)। তাদের ক্যামেরায় তোলা ছবি বিশ্লেষণ করেই ভূমিধসের চিহ্ন নজরে আসে বিজ্ঞানীদের। দেখা যায়, লালগ্রহের যে অংশে তরলের আধিক্য, সেখানেই এই ভূমিধসের প্রবণতা বেশি।
[৪] আবার মঙ্গলে একটি আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি অংশেও অধিক লাভা জমে সেখানকার জমিতে ফাটল দেখা গেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটা এক দিনের ব্যাপার নয়। বেশ খানিকটা সময় ধরেই মঙ্গলের ভূমিরূপে এই পরিবর্তন ঘটেছে।
[৫] তবে তা কতটা সময়, কতটা আগে, তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশায় বিজ্ঞানীরা। এ ধরনের ভূমিধসকে ভূতাত্ত্বিক প্রক্রিয়া বলেই মনে করছেন তাঁরা। মঙ্গলের ভূমিধসে যেসব অঞ্চলে লাভা জমেছে, সেখানকার ছবি অনেকটা পৃথিবীর কোনো একটা ধসপ্রবণ এলাকার মতো বলেই গবেষণা সূত্রের খবর।
[৬] ২০১৬ সালে মঙ্গলে পরিদর্শন শুরু করা ‘ট্রেস গ্যাস অরবিটার’ ২০১৮ সালে অভিযান শেষ করেছিল। তবে এই অরবিটারের রোভার রোজালিন্ড ফ্রাংকলিন এবং কাজাচকের মাধ্যমে তথ্য ও ছবি সরবরাহ করেছে। সেসব ছবি নিয়েই চলছে বিশ্লেষণ। প্রতিবেশী গ্রহের চেহারা চরিত্র বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছে বিজ্ঞানীরা।
আপনার মতামত লিখুন :