রাশিদ রিয়াজ : বাণিজ্যিক রুটগুলোর নিরাপত্তা রক্ষায় ভারত এধরনের রেডিওএ্যাক্টিভ ডিটেক্টর ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য বৃদ্ধিতে ভারত একই সঙ্গে রুটগুলোর নিরাপত্তার জন্যে জরুরি ব্যবস্থা নিচ্ছে। সীমান্ত বাণিজ্য ব্যবস্থাপনার আওতায় সমন্বিত তল্লাশী চৌকিগুলোতে এধরনের রেডিওএ্যাক্টিভ ডিটেক্টর রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে সাম্প্রতিক গোয়েন্দা সতর্ক বার্তার ওপর ভিত্তি করেই। গোয়েন্দা বার্তায় বলা হয়েছে বাণিজ্য রুটগুলো দিয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থের চোরাচালানের শঙ্কা রয়েছে। ভারতের স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ বাণিজ্য রুটগুলোর তদারকি করে থাকে। সীমান্ত স্থল বন্দরগুলো দিয়ে মালামাল ও লোকজনের সাথে যাতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ভারতে ঢুকতে না পারে সে জন্যে এই কর্তৃপক্ষের ওপর থাকবে প্রধান দায়িত্ব। স্পুটনিক
আফগানিস্তান ছাড়াও বাংলাদেশ, পাকিস্তান, মিয়ানমার ও নেপালের সঙ্গে ভারতের সীমান্তে রেডিওএ্যাক্টিভ ডিটেক্টর আগামী বছরের মধ্যেই বসে যাবে। পুরো ব্যবস্থা তদারকি ও বাস্তবায়নের জন্যে ১০৪ পাতার একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্ত ক্রসিং, ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট (আইসিপি) এবং স্থল বন্দরগুলি সজ্জিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যেহেতু এটি পারমাণবিক যন্ত্র বা রেডিওলজিকাল ডিসপারসাল ডিভাইসের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর চোরাচালান রুট হিসাবে ব্যবহার করা হতে পারে। আইসিপিতে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি আরডিই ব্যবহার করতে পারে, যা ট্রাক এবং পণ্যসম্ভার পর্যবেক্ষণ করে মনিটরিং স্টেশনের মাধ্যমে একটি ড্রাইভে সংযুক্ত করা যেতে পারে। রেডিওএ্যাক্টিভ ডিটেক্টরগুলো পৃথক গামা এবং নিউট্রন বিকিরণ অ্যালার্ম বাড়াতে এবং লক্ষ্য বস্তুর ভিডিও ফ্রেম তৈরি করতে সক্ষম। বিশেষ পারমাণবিক উপাদান এবং সার বা সিরামিকের প্রাকৃতিকভাবে বিকিরণের মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতাও থাকবে এসব সরঞ্জামের। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে অন্তত ২৪টি রেডিওএ্যাক্টিভ ডিটেক্টর বসানো হবে সীমান্ত তল্লাশি চৌকিগুলোতে। ভারতের ১৫ হাজার কিলোমিটার সীমান্তের ৯০টি ট্রানজিট পয়েন্টে এসব সরঞ্জাম বসানো হবে ধারাবাহিকভাবে।
নেপাল ও ভুটানের যথাক্রমে ৭০ ও ৯০ শতাংশ রপ্তানি বাজার হচ্ছে ভারত। স্থল বাণিজ্যের ৪০ শতাংশ ভারত করে থাকে বাংলাদেশ, নেপাল, মিয়ানমার ও পাকিস্তানের সঙ্গে। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ইতিমধ্যে বলেছেন আফগানিস্তানে পরিবর্তিত পরিস্থিতি ভারতের জন্যে চ্যালেঞ্জ এনে দিয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কৌশল পরিবর্তন করতে হচ্ছে ভারতকে। রাজনাথ সিং এও বলেছেন এ পরিস্থিতিতে আমরা উদ্বেগে রয়েছি। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক কমিটি দেশটির সরকারকে সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত ও জোরদার করার পরামর্শ দিয়েছে। ইতমধ্যে ভারতের ৮শ থানায় মোবাইল রেডিয়েশন ডিটেকশন সিস্টেম চালু করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :