শিরোনাম
◈ সমৃদ্ধ গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের পাশে কমনওয়েলথ: ঢাকায় আসছেন মহাসচিব ◈ তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপিল বিভাগের রায় আজ ◈ স্নাইপার সাফারি: অর্থের বিনিময় মানুষ গুলি করার ‘খেলা’ চালানোর অভিযোগ উঠেছে তিন দশক পর (ভিডিও) ◈ রামপুরায় টিভি ভবনের সামনে বাসে আগুন (ভিডিও) ◈ নিউইয়র্কে পা রাখলেই গ্রেপ্তার করা হবে নেতানিয়াহুকে: হুঁশিয়ারি জোহরান মামদানির ◈ পল্লবী থানার সামনে পরপর তিন ককটেল বিস্ফোরণ, মোটরসাইকেলে পালালো দুর্বৃত্তরা—আহত ৩ ◈ সাবেক আ.লীগ সরকারের ৩৩২ কোটি টাকায় রোজ গার্ডেন কেনা নিয়ে অনুসন্ধানে দুদক ◈ বাংলাদেশকে বিজনেস ভিসা দেওয়া শুরু করেছে ভারত: প্রণয় ভার্মা ◈ ভোটার কার্ড করেন ৩০ হাজার টাকায়, পাসপোর্ট করতে গিয়ে আটক ◈ গণভোট প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর জিজ্ঞাসায় সিইসির জবাব: ‘আইন ছাড়া সম্ভব নয়’

প্রকাশিত : ৩১ আগস্ট, ২০২১, ০৩:২৬ রাত
আপডেট : ৩১ আগস্ট, ২০২১, ০৩:২৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শোয়েব সর্বনাম: আমি দানের তৃপ্তি খরিদ করবো কাকে ভিক্ষা দিয়ে!

শোয়েব সর্বনাম: ঢাকার ভিক্ষুকদের একটা কমন প্র্যাকটিস আছে। তারা ভিক্ষা পাওয়ার জন্য নিজেদের দুর্দশার গল্প ফুটিয়ে তুলেন। নিজেদের গরিবপনা আর অসহায়ত্বের ভারে উবু হয়ে করুণ গলায় ভিক্ষা চান। সেইসঙ্গে, ভিক্ষায় পাওয়া টাকা তারা কী উপায়ে ব্যয় করবে তার বৃত্তান্ত জানান। যথা, রুটি কিন্যা খাবো, বাচ্চারে দুধ কিন্যা খাওয়াবো, পঙ্গুত্বের চিকিৎসার্থে ইত্যাদি। তাদের দাবি এমন যে, তারা প্রফেশনাল ভিক্ষুক না, এই খানাপিনা কিংবা চিকিৎসার টাকা হইলে তারা ভিক্ষা করতেন না। তবে আগেকারদিনে তেমন প্রফেশনাল ভিক্ষুক ছিলো বলে রেফারেন্স আছে সাহিত্যে, ইতিহাসে। তারা ভিক্ষাবৃত্তি করেই জীবন ধারণ করতেন।

হুমায়ূন আহমেদের লেখায় ঘোড়ায় চড়া ভিক্ষুকের কথা আছে; শরৎ, মানিক কিংবা বিভূতি এমন প্রফেশনাল ভিক্ষুকদের কথা বলছে, যারা গ্রামে গঞ্জে ভিক্ষা করে বেড়াতেন পেশাদার ভিক্ষুক হিসেবে। লালনপন্থী কিংবা বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও ভিক্ষা করে চলেন। ফলে তাদের জীবনের করুণগাঁথা জনে জনে বর্ণনা করতে হয়নি। ঢাকার রাস্তাঘাটে সম্প্রতি কিছু সাইনবোর্ড দেখা যায়, ভিক্ষা করা নিষেধ। আমি শেরাটনের সামনে আর গুলশান ১ নম্বরে এমন সাইনবোর্ড দেখছি। তার মানে এসব এলাকায় ভিক্ষা করতেন কেউ কেউ, ফলে কেউ কেউ ভিক্ষা দিয়াও থাকতেন। হাতিরঝিলের একদিকের মাথায়, মগবাজারের সাইডে ভিক্ষা করতে দেখতাম শুধু হিজরাদের। তাদের ভঙ্গি বেশ প্রফেশনাল। দুঃখ-দুর্দশার বর্ণনা তো তাদের নেই-ই, বরং গাঢ় মেকাপ আর রংবেরঙের পোশাক পরে বেশ ঢং করে এসে বলতো তারা, ‘দশ টাকা, বিশ টাকা দেও’।

করুণা নয়, বরং অধিকার হিসেবে চাইতো তাদের ভিক্ষার টাকা। তাদের প্রফেশনাল ভিক্ষুক বলা যায়। তো, কিছুদিন ধরে দেখি, তারা আর সেখানে নেই। তার বদলে সেখানে একদল দাড়ি টুপিওলা লোক এসে জুটছেন, তাদের হাতে থাকে রশিদ বই। তারা টাকা দাবি করে রশিদের বিনিময়ে এবং এই টাকার দশগুণ থেকে সত্তরগুণ পর্যন্ত ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। ফলে এইটারে তো ভিক্ষা হিসেবে নেওয়া যাইতেছে না, বরং ধার কিংবা কারবার বলা যায়। লাভজনক ইনভেস্টমেন্ট। তো, আমি গরিব-দুঃখীদের ভিক্ষা দিয়ে সেটিসফেকশন পাই না, এক বৃদ্ধ একদিন আমার দিকে তাকিয়ে সুন্দর একটা হাসি দিয়েছিলো, তাকে ভিক্ষা দিয়ে তৃপ্ত হয়েছিলাম আমি। হিজরাদের টাকা দিয়ে দানের তৃপ্তি পাই, বাট টুপি-পাঞ্জাবিদের রশিদমার্কা বিনিময়প্রথায় আমার আস্থা নেই। তো, আমি এখন দানের তৃপ্তি খরিদ করবো কাকে ভিক্ষা দিয়ে? ভিক্ষাবৃত্তি লিগ্যাল জব, এই জবে প্রফেশনালদের সুযোগ সৃষ্টি করা হোক। উপযুক্ত ভিক্ষুকের সংস্থান করে আমার ভিক্ষা দেওয়ার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়