সাখাওয়াত হোসেন: [২] যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন সামরিক বাহিনীও এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছে, রোববারে কাবুল বিমানবন্দরের কাছে একটি গাড়ি লক্ষ্য করে ড্রোন হামলায় বেসামরিক নাগরিক হতাহতের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
[৩] ২৯ আগস্ট রোববার এ হামলায় নিহতদের একজন আত্মীয় জানিয়েছেন, এ ড্রোন হামলায় একটি পরিবারের নয়জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ছয়জন শিশু রয়েছে বলে সিএনএনের সাংবাদিককে জানিয়েছেন তিনি।
[৩] এ হামলায় নিহতরা হলেন, জামারা (৪০), নাসির (৩০), জমির (২০), ফয়সাল (১০), ফারজাদ (৯), আরমিন (৪), বেনিয়ামিন (৩), আয়াত (২) এবং সুমাইয়া (২)।
[৪] মার্কিন সামরিক বাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কাছে খাজে বাঘরারের আশেপাশের একটি এলাকায় এ হামলা করা হয়েছে।
[৫] নিহত একজনের ভাই সাংবাদিককে বলেন, আমরা আফগানিস্তানের সাধারণ নাগরিক। আমাদের সঙ্গে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) এর কোন ধরনের যোগসাজশ কখনোই ছিলো না।
[৫] ঘটনাস্থলে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী আহাদ নামে এক ব্যক্তি সিএনএনকে জানান, হামলার পর গাড়িটিতে আগুন লেগে যায়, পরে অনেক চেষ্টা করেও আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি।
[৬] সিএনএন এর স্থানীয় সাংবাদিক জানিয়েছেন, তারা গাড়িতে করে পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে যেতে প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন।
[৭] উল্লেখ্য, এর আগে কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের সামনে দুই দফা আত্মঘাতী বোমা হামলায় অন্তত ১৭০ জন নিহত হয়, নিহতদের মধ্যে ১৩ জন মার্কিন সেনা ছিলো বলে পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়। এই ঘটনার দায় স্বীকার করে আইএস।
[৮] এই হামলার পরই পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানের আঞ্চলিক আইএস’র ঘাটিতে হামলা চালাচ্ছে ।
সম্পাদনা: আখিরুজ্জামান সোহান