ফিরোজ আহমেদ: পরোক্ষ হলেও স্বীকৃতি মিললো যে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখাটা কোনো জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয় না, বরং রাজনৈতিক বিষয়। এতো রকম আইন-কানুন-বাহিনী বানিয়েও নিজেদের নিয়ন্ত্রণটা যে পোক্ত না, এটা ভালোভাবেই তারা টের পান। যোগাযোগমন্ত্রীর কথা থেকে এই বিষয়টাই আবারও বোঝা গেলো। এ কারণেই করোনাকালে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলো। কেননা পুরো কোভিড মহামারি এই জাতি যেভাবে পার করলো, সেটা কতো রকমের ক্ষোভবিক্ষোভ আর প্রতিবাদের জন্ম দিতো, সেটা তারা ভালোই বোঝে। সবচাইতে ভয়াবহ বিষয় হলো, সংগঠিত ক্ষোভের প্রকাশ ঘটতে পারে, এই আশঙ্কায় আস্ত শিক্ষাটাকেই নির্বাসনে দেওয়া- সত্যিকারের হীরক রাজা যাকে বলা যায়।
একটা দেশের শাসকদের কাছে শিক্ষা কতোটা মূল্যহীন হলে এমনটা ঘটতে পারে। অবশেষে সরকারের দিক থেকে এই অস্বস্তিকর আলাপগুলো আর এড়ানো সম্ভব হলো না কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ‘প্রতীকী’ পাঠদান শুরু করার পর। প্রতিবাদের, উদ্যোগী হবারই, তৎপর হবার যে তাৎপর্য আছে, সেটা আবারও প্রমাণিত হলো। আশা করি এই প্রতীকী পাঠদান আন্দোলনে পরিণত হবে। শিক্ষকরা কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন, তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন থাকলো। গণমাধ্যমের প্রতিও আহ্বান থাকলো এই কর্মসূচিগুলোকে আরেকটু প্রচার করার। এই প্রতিবাদী শিক্ষকদের সাক্ষাৎকার তো আশা করতেই পারতামÑ কী ভাবছেন তারা, কেন ভাবছেন তারা, কীভাবে আগাবেন তারা, মানুষের কাছে কী বক্তব্য তাদের। এগুলোর সংবাদমূল্য নেই? আছে বলেই আমার বিশ্বাস। ফেসবুক থেকে